Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Justice Abhijit Gangopadhyay

ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে হাজিরা দিতে হবে শিক্ষা সচিবকে

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিবকে হাজিরার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৬
Share: Save:

কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বে়ঞ্চেও ধাক্কা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিবকে হাজিরার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। জানিয়ে দিল, শিক্ষা সচিবকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিতে হবে। সেই সঙ্গেই বিস্ময় প্রকাশ করে বেঞ্চের প্রশ্ন, এক জন সচিবকে তলবের নির্দেশকে কী ভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায়?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব মণীশকে বৃহস্পতিবার তাঁর এজলাসে হাজিরা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশিই, কার নির্দেশে ‘অবৈধ’দের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছে আদালতে, সিবিআইকে তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। এই আবেদন ফিরিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। যার অর্থ, উচ্চ আদালতে যে চার-চারটি আবেদন জমা পড়েছিল, তা কার ‘মস্তিষ্কপ্রসূত’, সিবিআই-ই তদন্ত করবে।

বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে, কমিশন কী ভাবে অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এ রকম একটা আবেদন করল? কী ভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করানোর কথা ভাবা হল?’’

অবৈধ নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে কমিশনের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। যার প্রেক্ষিতে কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষকতার কাজ নয়। কারণ, তা হলে যোগ্যরাই চাকরি পাবেন না। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তারা জানায়, ত্রুটি বুঝতে পেরেই ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে খবর, এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে ওই আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, ‘‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগের আবেদন করা হল? তার প্রেক্ষিতে নির্দেশের কোনও নথি আদালতে জমা করতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এর পরেই বিচারপতির নির্দেশ, কার নির্দেশে বেনামী আবদেন করা হল, কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা তদন্ত করে দেখবে সিবিআই। বুধবার থেকেই শুরু করা হোক তদন্ত। তার রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে জমা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্যপ্রার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন।’’

বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করতেই কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, এ সবের দায়ভার তিনি নিতে রাজি আছেন। এর পরেই বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি মনে করেন, আবেদনগুলি কমিশনের নামে করা হলেও কমিশন এর সঙ্গে যুক্ত নয়। কমিশনকে সামনে রেখে পিছন থেকে কেউ ‘বেনামী আবেদন’ করেছেন। কমিশনের চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘না, অন্যের দায় আপনি কেন নেবেন? আমি সেটা হতে দেব না। আপনাকে লক্ষ্য করে কেন সব গুলি ছোড়া হবে?’’ এর পরেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে হাজির নির্দেশ দেন বিচারপতি।

অন্য বিষয়গুলি:

Justice Abhijit Gangopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy