মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
শাসক তৃণমূলের আচরণের কারণেই সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার রাস্তার হাঁটতে চলেছে বিজেপি। শনিবার মেদিনীপুরে এসে বিধানসভার কমিটি বণ্টন বিতর্ক প্রসঙ্গে এ কথা জানালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, বিধানসভার কোনও কমিটিতেই চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না বিজেপি বিধায়কেরা। দিলীপ শনিবার বিজেপি পরিষদীয় দলের সেই অবস্থান সমর্থন করে বলেন, ‘‘আমরা সে রকমই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকার যদি রীতিনীতি না মানে। আমাদের সহযোগিতা না চায়। তা হলে যা ইচ্ছা করতে পারে। তখন আমাদের কোন দায়িত্ব নেই।
শুভেন্দুর সুরেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে পরিষদীয় প্রথা অমান্য করার অভিযোগও করে দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘রীতি অনুযায়ী পিএসি চেয়ারম্যান বিরোধী দলের দ্বারা পাঠানো নাম থেকে চয়ন করা হয়। আমরা নাম পাঠিয়েছি। সেখান থেকে না করে তাঁরা নিজেদের ইচ্ছে মতো করেছেন। সে জন্য স্বাভাবিক ভাবেই এই সরকারের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা নেই। আর ও রকম পদে থেকেও আমাদের কোনও লাভ নেই।’’
বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোট গঠনে সক্রিয় হবেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ববি হাকিম। এ প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘করুন না। অনেকবার চেষ্টা করেছেন। আরও একবার করে দেখুন।’’
তবে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ‘ইস্তফা দিতে বাধ্য হওয়া’ বাবুল সুপ্রিয়ের নেটমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়টি শনিবার এড়িয়ে গিয়েছেন দিলীপ। বলেন, ‘‘আমি তো মন্ত্রী নই। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’ বুধবার ওই পোস্টের পর দিলীপ অবশ্য বাবুলকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কেউ তো এমন লেখেনি? কাজের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। পার্টির কাজ করছি, বিধায়ক সাংসদ যা হয়েছি, তা পার্টির জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy