দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৭৭-এ শেষ করেছে বিজেপি। এ বার আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ২৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ফেলল তারা। শুধু তা-ই নয়, লোকসভা নির্বাচনের প্রায় তিন বছর আগে তার স্লোগানও ঠিক হয়ে গেল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে দলের দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজয়া সম্মেলনে বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমাদের অন্তত ২৫টি আসন জিততে হবে। এখন থেকে স্লোগান দিতে শুরু করুন, এ বার ২৫ পার। এই মন্ত্র জপ করুন। মন্ত্র যত বলবেন, তত সিদ্ধিলাভ নিশ্চিত হবে।” এর সঙ্গে সুকান্ত এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের আহ্বান, লোকসভায় ওই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে গেলে এখন কর্পোরেশনও জিততে হবে। দিলীপের ব্যাখ্যা, “কলকাতা-সহ যে সব পুরসভায় ভোট আসন্ন, সেগুলিতে আমাদের জিততে হবে। কারণ স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে না জিতলে বিধায়ক, সাংসদ জেতা যায় না। জিতলেও ধরে রাখা যায় না। যেমন বহু বছর আগে তপন সিকদার এবং জলু মুখোপাধ্যায় (সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়) দমদম এবং কৃষ্ণনগর লোকসভায় জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সেই ফল ধরে রাখতে পারিনি। কারণ বুথে সংগঠন ছিল না। আর সেটা না থাকলে স্থানীয় ভোটে জেতা যায় না।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চলতি বছরের বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে বিজেপির হাতে এখন গোটা দশেকের বেশি লোকসভা আসন নেই! কারণ, বিজেপি ৭৭টি বিধানসভা আসনে জিতলেও তাদের দুই বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন এবং আরও পাঁচ বিধায়ক দল ছেড়ে শাসক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
ওই অনুষ্ঠানে দিলীপ লোকসভারও দু’বছর পরে নির্ধারিত বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন কর্মীদের সামনে। তিনি বলেন, “জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপি— এই যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দল হতে আমাদের ৭০ বছর সময় লেগেছে। কর্মীদের রক্ত, ঘামের উপর দাঁড়িয়ে এ বার বিধানসভা ভোটে আমরা নবান্নের সাত তলা অবধি পৌঁছেছি। আর পাঁচ বছর লাগবে নবান্নের ১৪ তলায় পৌঁছতে। আগামী বিধানসভা ভোটে দলের কর্মীদের পরিশ্রমের উপর ভরসা করেই আমরা সেখানে পৌঁছব।” ওই সভায় বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহর মন্তব্য, “এখন আমরা যতই বলি বিধানসভা ভোটে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছি, আসলে তো তার জন্য আমরা লড়িনি। ২০০ আসনের জন্যই কর্মীরা লড়েছিলেন। নিজেদের নীতির জন্যই আমরা হেরেছি।”
তৃণমূল অবশ্য সুকান্তর লোকসভা এবং দিলীপের বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যমাত্রাকে রসিকতার বিষয় বলে মনে করছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “স্বপ্নে যখন পোলাও খাবেন, ঘি কম দেবেন কেন? আগে গোয়া, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সামলান। পরে নবান্নের কথা ভাববেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy