—ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহে খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে খড়্গপুরে এসে শহরের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।শুক্রবারই খড়্গপুরে এসে তৃণমূলকে বিঁধেছিলেন দিলীপ। শনিবার হলদিয়া যাওয়ার আগে খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকায় চা-চর্চা সারেন। ঝাড়েশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে একটি সভাতেও যোগ দেন দিলীপ। অভিযোগ তোলেন, “দিদির ভাইরা গরিবের টাকা লুট করছে। খড়্গপুরের জন্য এক হাজার ঘর এসেছে। কোথায় ঘর হয়েছে? বস্তিতে ঘর হয়নি। কারণ এখানে ২৫-৩০ হাজার আপনাকে দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকও নিয়েও বিঁধেছেন দিলীপ। তাঁর কটাক্ষ, “উনি এখন প্রশাসনিক বৈঠকের নামে নির্বাচনী বৈঠক করছেন। বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন।”
দীর্ঘদিন রেলশহরের বিধানসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১৬ সালে সেখানে জেতেন দিলীপ। পরে দিলীপ মেদিনীপুরের সাংসদ হন। আর খড়্গপুরে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জেতেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। এ দিন প্রদীপের বিরুদ্ধেই সরব হয়ে দিলীপ বলেন, “কেন উন্নয়ন হয়নি? কেন রাস্তা, জলের সমস্যা মেটেনি? এখন আপনাদের যে বিধায়ক তিনি আগে পুরপ্রধান ছিলেন। এখনও পুরসভা দখল করে বসে রয়েছেন। নিজে কোনও কাজ করেন না। কাজ করতেও দেন না।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের দাবি, তিনি শহরের উন্নয়নের চেষ্টা করলেও বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। দিলীপের অভিযোগ, “আমি ৩ বছর বিধায়ক থাকাকালীন তহবিলের টাকা দিলেও প্রকল্প অনুমোদন করেনি পুরসভা। টাকা পড়ে রয়েছে। কারণ ওরা দেখাতে চায় দিলীপ ঘোষ কাজ করেনি। দিদি যেমন তার ভাইও তেমন!” রেলশহরের মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধেও তিনি লড়াই করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার পাল্টা বলেন, “দিলীপ ঘোষ যখন এত উন্নয়ন চাইছেন তখন শহরে রেলের এলাকার উন্নয়ন করুন। আসলে কাজের মানসিকতা নেই। ন’মাসে-ছ’মাসে একদিন এসে উনি বড়-বড় মিথ্যা কথা বলেন।”
অবশ্য তিনি যে খড়্গপুরে কম আসেন সে কথা নিজেই স্বীকার করেছেন দিলীপ। এ দিনের সভায় তিনি বলেন, “আমাকে এখন দিল্লি ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়। তাই আগের মতো খড়্গপুরবাসীর সঙ্গে দেখা করা, খোঁজখবর নেওয়ার সময় কমে গিয়েছে। তবে যখনই সময় পাই সকালে এসে বিকেল পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করি।” শুক্রবার সন্ধ্যা ও শনিবার সকালে দিলীপের সভার ভিড়ে অনেকেরই মাস্ক দেখা যায়নি। দিলীপের সতর্কবাণী, “দুর্গাপুজো আসছে। নিশ্চয়ই আনন্দ করব। কিন্তু মাস্ক ছাড়া বেরোবেন না। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন দু’গজের দূরত্ব এবং মাস্ক জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy