নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গোর্খাদের আশ্বাস দিলীপ ঘোষের। — ফাইল চিত্র
পাহাড়ে গোর্খাদের ভোটে গত কয়েক বার টানা জিতেছে বিজেপি। কিন্তু অসমে নাগরিকপঞ্জিতে লাখখানেক গোর্খার নাম বাদ যাওয়ার পর থেকে গেরুয়া ব্রিগেড সম্পর্কে পাহাড়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন সেখানকার অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে গোর্খাদের সংশয় দূর করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এই নিয়ে বারবার বরাভয় দিয়েছেন পাহাড়ের লোকজনকে। সংসদে গোর্খাদের আতঙ্ক ও সংশয়ের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তাঁরা। এ বারে সেই কাজে নামলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। শনিবার শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের যা অধিকার, বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং— সকলেরই একই অধিকার।’’
বস্তুত, এ দিন গোর্খা এবং পাহাড়ের প্রসঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন দিলীপ। এর আরও কারণ, তাঁর বৈঠকের আগেই বিনয় তামাংপন্থী মোর্চার মহিলা শাখার সভানেত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘আইনে কোথাও গোর্খাদের রক্ষাকবচের কথা বলা নেই। বাইরের দেশের মানুষকে নিয়ে এত চিন্তা কেন কেন্দ্রীয় সরকারের? দেশের মানুষের কথা ভাবা হচ্ছে না। গোর্খাদের ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা বলে ঘোষণা না করলে আইন কার্যকর করতে দেব না।’’ তিনি আরও জানান, শীঘ্রই পাহাড়ে মোর্চার মহিলা শাখার নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হবে। রবিবার সুকনায় আসছেন বিনয় তামাং। সেখানেই মহিলা মোর্চার পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই নেত্রী।
এর কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, পাহাড়ে গোর্খাদের কোনও ভয় নেই। দিলীপ বলেন, ‘‘ভারতীয় আইনে গোর্খাদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের থাকা, খাওয়া, চাকরি করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয়েছে কি? ’’ তার পরেই নিজের সঙ্গে বিমল ও বিনয়ের তুলনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নেপাল থেকে আসা মানুষকেও আমরা ভারতীয় বলেই মনে করি। নেপালের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, দুই দেশের মানুষ দুই দেশে যেতে পারে। থাকতে পারে। জীবিকা অর্জন করতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy