নিয়োগবিধির ব্যাখ্যা দিয়েছেন মানিক। নিজস্ব চিত্র।
মানিক ভট্টাচার্যের আমলেই নিয়োগ হয়েছিল চাকরিহারা ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল বলে গত শুক্রবার মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রাথমিকের প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিকও ওই নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের নিয়মের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় নগর দায়রা আদালতে হাজিরা ছিল মানিকের। আদালত চত্বর থেকে তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মানিক জানান, যে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছিলেন, নিয়োগের ‘২সি’ বিধি অনুযায়ী তাঁদের স্বাভাবিক ক্ষমতার পরীক্ষা হয়েছে। যদিও এই বাক্যটি তিনি শেষ করার আগেই তাঁকে পুলিশের ভ্যানে উঠে যেতে বলা হয়। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই ৩২ হাজার শিক্ষকের যথাযথ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারীরা। প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভ্যানে উঠতে উঠতে বলেন, ‘‘প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ২সি ধারায় বলা হয়েছে, অ্যাপ্টিটিউড মানে হচ্ছে স্বাভাবিক ক্ষমতা বা প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা।’’ তবে কি নিয়োগবিধির ব্যাখ্যা দিয়ে মানিক এটাই বোঝাতে চাইলেন, নিয়োগে কোনও ত্রুটি নেই? মানিক অবশ্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। বলেছেন, ‘‘এই নিয়ে কোনও কথা নেই।’’
মানিকের এই ব্যাখ্যায় প্রশ্ন উঠেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কি তবে চাকরিহারাদেরই পক্ষ নিলেন। পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ইতিমধ্যেই বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে মানিকও কি একই পথে হাঁটলেন? বৃহস্পতিবার তার কোনও জবাব দেননি পলাশিপাড়ার বিধায়ক।
মানিককে তাঁর হাজতবাসের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মানিক বলেন, “গরম পড়েছে, সর্বত্র তাপপ্রবাহ চলছে। সবার কষ্ট হচ্ছে। আপনাদেরও হচ্ছে। আমাদেরও হচ্ছে।” মানিককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, জেলের হাসপাতালে সমস্যা হচ্ছে কি? এর জবাবে মানিক বলেন, ‘‘আমি এ সব একদমই বলিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy