প্রতীকী ছবি।
উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করার প্রশ্ন নেই। তবে কোনও ‘নির্দোষ’ যেন শাস্তি না পায়। তেলঙ্গানার তরুণীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারায় অভিযুক্ত চার জনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর পরে এমন প্রতিক্রিয়া যাঁর, তাঁর দাদার ফাঁসি হয়েছে ধর্ষণ করে খুনের মামলায়। হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির সাজা পাওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের বোন শান্তি মুখোপাধ্যায়।
১৯৯০ সালে কলকাতায় ভবানীপুরে ১৪ বছরের হেতালকে বহুতল বাড়িতে একলা পেয়ে খুন ও ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সে বহুতলেরই নিরাপত্তারক্ষী বাঁকুড়া জেলার ছাতনার কুলুডিহির বাসিন্দা ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ১৪ অগস্ট ফাঁসি হয় তাঁর।
বাঁকুড়ার ছাতনার দুবরাজপুরের বাসিন্দা শান্তিদেবী শুক্রবার দাবি করেন, “দাদা নির্দোষ ছিল। বিনা অপরাধে চোদ্দো বছর জেল খাটার পরে, ওকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে। তবে তেলঙ্গানার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যদি ঠিকঠাক তথ্য-প্রমাণ থাকে, তা হলে তাদের ছাড়ার প্রশ্ন নেই। এ ধরনের ঘটনা যারাই ঘটাক তাদের শাস্তি দিতে হবে।’’ তবে তাঁর সংযোজন: ‘‘দাদার মতো কোনও নির্দোষের যেন সাজা না হয়।”
ধনঞ্জয়েরা তিন ভাই, চার বোন। শান্তিদেবী জানান, ধনঞ্জয়ের ফাঁসির পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের বাবা বংশীধর চট্টোপাধ্যায়। কয়েক বছর পরে তাঁর মৃত্যু হয়। মারা যান মা বেলারানি দেবীও। ধনঞ্জয়ের স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী এখন পুরুলিয়ার কাশীপুর এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকেন। শান্তিদেবীর আক্ষেপ, ‘‘পরিবারটা ছারখার হয়ে গেল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy