এসডিপিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: নির্মল বসু।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন সন্দেশখালির বেশ কিছু আদিবাসী। তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে সন্দেশখালি ১ ব্লকের সরবেড়িয়া-আগারহাটি এবং বেড়মজুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার ঝুপখালি, ধামাখালি, গুলবনিয়া, হালদারঘেরিপাড়া, কাঠপোল-সহ বিভিন্ন গ্রামে শুরু হওয়া রাজনৈতিক সংঘর্ষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি, হালদারঘেরি এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পুলিশ কর্মী-সহ জখম হয় দু’পক্ষের ২৫ জন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের আক্রমণে তাদের কর্মীরা জখম হচ্ছে। পুলিশ শাসকদলের অভিযুক্তদের ধরছে না। সিপিএমও অবশ্য দাবি করেছে, হালদারঘেরি এলাকায় তাদের দলের কয়েক জন কর্মী-সমর্থকও শাসক দলের আক্রমণে জখম।
হামলার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এই নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এই আবহে আজ, শনিবার বিজেপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আসছে সন্দেশখালিতে। একই দিনে সদ্য দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বেও প্রতিনিধি দল আসছে এলাকায়।
শুক্রবার দুপুরে তির-ধনুক, প্ল্যাকার্ড হাতে বসিরহাট এসডিপিও অফিসের সামনে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান সন্দেশখালি এলাকার বহু আদিবাসী। যার জেরে আবুদৈয়ান রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পথ চলতি মানুষ অসুবিধায় পড়েন। পরে পাঁচ দফা দাবিতে এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দেন আদিবাসীরা। দোষীদের গ্রেফতার এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়।
আদিবাসী জনকল্যাণ সমিতির সদস্যদের দাবি, হালদারঘেরি পাড়ার ঘটনায় তৃণমূলের আক্রমণে তাদের সংগঠনেরও দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তারই প্রতিবাদে এ দিনের কর্মসূচি। ঝুপখালি গ্রামের ভবানী সর্দার বলেন, ‘‘গ্রামের মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করা হচ্ছে। মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুর-লুঠপাটের মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ, পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও অপরাধীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এমনটা চলতে পারে না। পুলিশ-প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে,এমন চলতে থাকলে আমরাও নিজেদের অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হব। তখন যেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নামে দোষ দেওয়া না হয়।’’
আদিবাসী নেতা সুকুমার সর্দার বলেন, ‘‘সর্বত্য শাসকদলের বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। পুলিশকে জানিয়ে সুরাহা না হওয়ায় মানুষ যখন বিজেপিকে বেছে নিয়েছে, সে সময়ে তৃণমূলের হামলা আরও বেড়েছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, মেছোভেড়ির লিজের টাকা আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে গ্রামে চোলাইয়ের রমরমার জন্য দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব আরও বেড়েছে। এ সবের জেরে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy