শান্তিরঞ্জন পাল।
থানার রান্নাঘর থেকে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানায় ওই ঘটনায় মৃত কনস্টেবলের নাম শান্তিরঞ্জন পাল (৫৬)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার তালতলা গভর্নমেন্ট কলোনিতে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি গাইঘাটা থানায় যোগ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে তাঁকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থানা চত্বরেই দেখা গিয়েছে। একটি মামলার নথিপত্র নিয়ে তাঁর কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য থানার একজন হোমগার্ড তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মোবাইলে ফোন করেন। তিনি শোনেন থানার রান্নাঘরে মোবাইল বেজে চলেছে। আওয়াজ পেয়ে রান্নাঘরে গিয়ে তিনি দেখেন গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় শান্তিবাবুর দেহ কড়িকাঠ থেকে ঝুলছে। রান্নাঘরের দু’টি দরজার একটি বন্ধ ও অন্যটি খোলা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানার অন্য পুলিশকর্মীদের খবর দেন। থানা থেকে খবর দেওয়া হয় শান্তিরঞ্জনবাবুর বাড়িতে।
এখানেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ।
শান্তিরঞ্জনবাবুর ছেলে মিঠুন এ দিন গাইঘাটা থানায় তাঁর বাবার মৃত্যুর জন্য থানার তিন কনস্টেবলকে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, ওই তিন কনস্টেবল ক্রমাগত তাঁর বাবাকে মানসিক নির্যাতন করতেন। বাবা এ কথা বাড়িতেও জানিয়েছিলেন। বিষয়টি তাঁরা ওসিকেও জানান। ওসি এ ব্যাপারে ওই তিন কনস্টেবলের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “শান্তিরঞ্জনবাবুর ছেলে আমাদের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে থানারই তিন কনস্টেবল তাঁর বাবাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তবে থানার এক গাড়ি চালকের কাছ থেকেও এটাও জানা গিয়েছে যে, শান্তিবাবুর ছেলের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলচিল। এ জন্য শান্তিবাবু মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সমস্ত দিকই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ওসিকে জানানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy