‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ দিবসে ধর্মতলা এলাকায় প্রতিবাদ ছবি পিটিআই
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল বাতিলের দাবিতে এবং মোদী সরকারের আমলে দেশে যে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ চলছে, তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হল কলকাতায় পথে নেমে। জরুরি অবস্থার ৪৬তম বর্ষপূর্তিকে মনে রেখে শনিবার গোটা দেশ জুড়েই ‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। কলকাতায় রাজভবনের সামনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হলেও সমন্বয় কমিটির অবস্থান-বিক্ষোভ এ দিন হয়েছে সিদো-কানহু-ডহরে। একই কর্মসূচি নিয়ে গাঁধী মূর্তির কাছে মেয়ো রোডে অবস্থান করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আইএসএফের বিধায়ক নওসাদউদ্দিন সিদ্দিকী ও তাঁর সঙ্গীরা। পুলিশের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাম নেতারা।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এ দিন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অন্য সময় এসপ্ল্যানেড ইস্টে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ থাকলেও এ দিন পুলিশের হস্তক্ষেপে রাজভবনের ফটক থেকে কিছু দূরে সিদো-কানহু-ডহরে ঘণ্টাদুয়েক অবস্থান-বিক্ষোভ চলে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার নিয়ে। কৃষক সংগঠনের অমল হালদার, কার্তিক পাল, সুভাষ নস্কর, প্রদীপ সিংহ ঠাকুর, হাফিজ আলম সৈরানি, তেজেন্দ্র সিংহ, চৈতন সিংহদের পাশাপাশি শ্রমিক ফ্রন্ট থেকে অনাদি সাহু, অতনু চক্রবর্তীরা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। অন্য দিকে, কৃষি আইন এবং বিজেপির ‘বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের’ প্রতিবাদে এবং রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা বন্ধের দাবিতে এ দিন মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের কাছে অবস্থানের জন্য আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ ও তাঁর ১২ জন সঙ্গী পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। কার্যত লকডাউনে রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না, এই কারণ দেখিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও বাম নেতাদের প্রশ্ন, একই শহরে অল্প দূরে কোভিড-বিধি মেনে অন্য কর্মসূচি তো হয়েছে! সন্ধ্যায় নওসাদদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy