শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতে আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে মামলাকারীর কাছে নোটিস পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।
কেন্দ্রের ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে ‘ফেরুল’ (মূল পাইপ থেকে মুখ জোড়ার যন্ত্রাংশ) কেনা-সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু। সে জন্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন পুলক। পাঁচ কোটি টাকার ওই মানহানির মামলা উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে বিচারাধীন ছিল।
মামলাটিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর পক্ষে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাস সওয়াল করেন। বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশ, আপাতত নিম্ন আদালতে ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। হাই কোর্টে মামলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রী পুলককে আগে নোটিস দেবেন শুভেন্দু। মামলাকারী মন্ত্রী শুভেন্দুর কাছ থেকে নোটিস পাওয়ার পরেই মামলাটি হাই কোর্টে আবার উঠবে। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার আগে নিয়ম মেনে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছিলেন পুলক। কিন্তু অভিযোগ, শুভেন্দু সেই নোটিসের কোনও জবাব দেননি। এর পরেই গত ৩ জানুয়ারি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের দেওয়ানি বিভাগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। মার্চ মাসে ফৌজদারি ধারাতেও মামলা করা হয়।
কী নিয়ে মামলা?
পুলকের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, খোলা বাজারে যে ফেরুলের দাম ২১৩ টাকা, সেটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে দিয়ে ফেরুল কেনা হয়েছে। ১,০৮৬ কোটি টাকার প্রকল্পে ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার পরেই শুভেন্দুকে আইনি নোটিস পাঠান রাজ্যের মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy