—প্রতীকী ছবি।
জেঠার বাড়ির শৌচাগার থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র উত্তম মার্ডির (২২) ঝুলন্ত দেহ। মালদহের গাজলের কচুয়া গ্রামের ঘটনা। রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ না জানালেও, পরিবারের দাবি, হস্টেলে সিনিয়রদের ‘র্যাগিংয়ের শিকার’ হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন উত্তম। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “অভিযোগ পেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনও খবর নেই। কোনও অভিযোগও নেই।’’
প্রাথমিক স্তর থেকেই কচুয়া গ্রামে তাঁর স্কুলশিক্ষক জেঠা জোনাস মার্ডির বাড়িতে থাকতেন উত্তম। তাঁর বাবা কমল মার্ডি দিনমজুর। মালদহ কলেজ থেকে ইতিহাসে প্রথম বিভাগে স্নাতক উত্তম ৩ অক্টোবর শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে যান। ৭ অক্টোবর হস্টেল ছেড়ে জেঠার বাড়িতে ফেরেন। জোনাসের দাবি, “উত্তমের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। সেখানে র্যাগিংয়ের জেরে, ছাত্র-মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।’’ তাঁর বক্তব্য, সেখানকার হস্টেলে উত্তমকে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। যদিও তিনি এই নিয়ে সবিস্তার কিছু পরিবারকে জানাননি বলেই পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য। শুধু উত্তমের জেঠতুতো দিদি পাঞ্চালী মার্ডির দাবি, “হস্টেলের কিছু সিনিয়র ভাইয়ের দেহের গড়ন নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিল। ভাই তা মানতে পারেনি।” তবে এই নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি পরিবার।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগর হস্টেলে থাকতেন উত্তম। সিনিয়র ছাত্রদের রামকৃষ্ণ হস্টেলের পিছনে ওই হস্টেল। ৬ অক্টোবর থেকে তাঁকে দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ঘটনার খবর পৌঁছতে পড়ুয়ারা কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ মানতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার ইউনিটের সভাপতি তথা ‘টিএমসিপি’ (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ) নেতা অয়ন মহান্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সুভাষচন্দ্র রায় ‘হস্টেল মনিটরিং কমিটি’র চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-র্যাগিং সেল, দুটো অ্যান্টি-র্যাগিং স্কোয়াড রয়েছে। তাদের কাউকে কিছু জানায়নি ওই ছাত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy