এখানেই মেলে সুধীর সরকারের ঝুলন্ত দেহ। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে মিলল এক কর্মচারীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পাশে মিলেছে নির্বাচনের নিয়োগপত্রও। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনী নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরই অস্থির হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তার ফলে মানসিক অবসাদ থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার হয় সেখানকার সেরিকালচার বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সুধীর সরকারের ঝুলন্ত দেহ। সুধীর রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যার পরেও বাড়ি ফেরেননি সুধীর। তাঁর ছেলে বাবাকে খুঁজতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে সেরিকালচার বিভাগের ঘরে ঢুকে তিনি বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুধীরের দেহের পাশে মিলেছে তাঁর নির্বাচনী নিয়োগপত্র।
সুধীরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শুক্রবার সকালে ১০টা নাগাদ তিনি প্রতি দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচনী নিয়োগপত্র হাতে পান বলেও জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তার জেরে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। সুধীরের ভাইপো সুনীল সরকার বলছেন, ‘‘গত কাল উনি নির্বাচনী নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছিলেন। তার পর থেকেই হতাশ ছিলেন। রাতে ভাল করে ঘুমোননি। উনি সুগারের রোগী ছিলেন। সেই কারণে ভোটের কাজে যেতে চাইতেন না। এর আগেও নানা ভাবে নাম কাটিয়ে দিয়েছিলেন। এ বারও সেই চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy