ঘূর্ণিঝড়ের আগে গাছের ডালপালা ছাঁটাই করছেন পুরসভার কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
বছরখানেক আগে আমপানের (প্রকৃত উচ্চারণ উমপুন) তাণ্ডবে তছনচ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা-সহ উত্তরপাড়াও। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর আসার আগে তাই আগাম সতর্ক উত্তরপাড়া প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত বছর ২০ মে আমপানের তাণ্ডবে শুধুমাত্র হুগলি জেলাতেই প্রায় ৭০ হাজার গাছ ভেঙে পড়েছিল। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে, খুঁটি উপড়ে বেশ কয়েক দিন বিদ্যুৎহীন হয়ে গিয়েছিল শহর থেকে গ্রাম। উত্তরপাড়া শহরেও বহু প্রাচীন গাছ ভেঙে পড়েছিল। এ বার তাই ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আসার আগে তৎপর হয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা। জিটি রোডের ধারে অনেক গাছে বিপজ্জনক ভাবে বিদ্যুতের তারের উপর ঝুলে রয়েছে। কোনওটার আবার ডালপালা ভেঙে পড়তে পারে। এ ধরনের গাছের ডালপালা ছাঁটাই করার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। পুরপ্রশাসক দিলীপ যাদব বলেন, “গত বছর আমপানের পর যে সমস্যাগুলো হয়েছিল, সেগুলো ‘ইয়াসে’র ফলে যাতে না হয় অথবা অনেকটা কম হয়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। বড় গাছ ভেঙে পড়লে জিটি রোড-সহ গোটা শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তা যাতে না হয়, সে জন্য গাছের ডালপালা ছাঁটাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঝড়ের ফলে শহরে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে না। সে সময় বড় আবসনগুলোতে পানীয় জলের সমস্যাও দেখা দেয়। সেই সমস্যা দূর করতে জেনারেটরের আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি স্কুলবাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে ঝড়ের কবলে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।”
উত্তরপাড়ার মতো ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম সতর্ক ডানকুনি প্রশাসনও। শনিবার পুরপ্রশাসক হাসিনা শবনম নিজেই টোটো করে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে বেরিয়ে পড়েন। যাঁরা মাটির বা জীর্ণ বাড়িতে অথবা ঝুপড়িতে থাকেন, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়। প্রয়োজনে তাঁরা সাতঘরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে পারেন বলেও প্রচার চালায় প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy