ফাইল ছবি
২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর। তার আগে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা। বিপর্যয়ের আগেই যাতে সব প্রস্তুতি সেরে ফেলা যায় সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও ভাবেই কোভিড কেয়ার সেন্টার ও হাসপাতালগুলিতে সমস্যা না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল ও অন্য আধিকারিকরা। বিপর্যয়ের আগেই উপকূলের নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষকে বার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। খাবার, জল, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যাতে অভাব না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে কমিটিকে। কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে এই দুই রাজ্যে। এ ছাড়া আরও ২০টি দল তৈরি রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদের কাজে নামানো হবে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তারাও উদ্ধার কাজ ও অন্যান্য সাহায্যে নেমে পড়বে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে। নিম্নচাপের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রেখেছে নৌবাহিনী। হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ (এইচএডিআর)-এর আওতায় নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজকে তৈরি রাখা হয়েছে। পশিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হবে সেখানে ত্রাণ ও অন্য সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছে যাবে এই জাহাজগুলি। এ ছাড়া বিশাখাপত্তনমে আইএনএস ডেগা ও চেন্নাইয়ে আইএনএস রজলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে নৌবাহিনীর বিমানে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy