Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Cyclone in Bay of Bengal

দুর্যোগ ঘনাচ্ছে সাগরে, ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’! বাংলায় প্রভাব কী? জানাল হাওয়া অফিস

নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে।

Cyclone may form in Bay of Bengal at the end of this week

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। —ফাইল চিত্র ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪
Share: Save:

সাগরে আবার ঘনাচ্ছে দুর্যোগ, ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়! এমনটাই ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। যা আগামী বুধবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের বুকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। অর্থাৎ, নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে আগামী শুক্রবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

আবহবিদেরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তৈরি হলে এ রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়বে বা কতটা ঝড়বৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত নন আবহবিদেরা। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে। মঙ্গলে ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে বারণ করা হয়েছে।

এর আগে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও বজায় থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু মাসের শেষ দিকে এসে তার ছন্দপতন হল। নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে আগামী দু’দিন রাজ্যের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে কড়া শীত পড়তে আর বেশি দেরি নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত পড়তে পারে বাংলায়।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ার পর থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর, অর্থাৎ উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর (ওয়ার্ল্ড মেটিয়োরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট)। ২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের সেই তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আগামী শুক্রবার সাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে তালিকা অনুযায়ী তার নাম হবে ‘মিগজাউম’। ‘মিগজাউম’ নামটি মায়নমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় মেধিলি। গত ১৭ নভেম্বর উত্তর-পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়ে। সেই আবহেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Bay Of Bengal Depression
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE