ছবি পিটিআই।
ক্রমশই লাগামছাড়া হচ্ছে আনাজের দাম। আমপানের পরে জমে থাকা বৃষ্টির জল নামিয়ে যেটুকু ফসল মাঠে ছিল, তা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু বুধবারের কালবৈশাখী সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে প্রায় ১০.৫ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতির কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতরকে আগামিকাল, শনিবারের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরবর্তী রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
চাষিরা জানাচ্ছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এখনই বাজারে আনাজের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা কোলে মার্কেটের জনসংযোগ আধিকারিক কমল দে। তিনি বলেন, ‘‘এখনই খোলা বাজারে যে ভাবে আনাজের দাম বেড়েছে তা ঠিক নয়। কিছু দিন পর থেকে আনাজে টান পড়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে এখনই খোলা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।’’
ভাঙড়ের বিভিন্ন হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় কয়েক কোটি টাকার আনাজ কলকাতার কোলে মার্কেট, শিয়ালদহ মার্কেট, ধুলাগড়-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়।
হুগলির কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এই জেলায় ডালশস্য, পাট, তৈলবীজ, আনাজ, আম, কলা, পান চাষের পুরো এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে ফসলের ৫ শতাংশ উদ্ধার হওয়াও কঠিন। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি, হাওড়া জেলায় ৯৮ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy