ফ্যাসিবাদ বিরোধী কর্মসূচির ঘোষণায় বিশিষ্ট জনেরা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে। —নিজস্ব চিত্র।
দেশে ফ্যাসিবাদী ‘আগ্রাসনে’র বিরুদ্ধে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন বিশিষ্ট জনেরা। আগেই ফ্যাসিবাদ-বিরোধী মহাসম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল শহরে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতায় সুবিধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত মিছিল করবেন। মিছিল শেষে সমাবেশে করার কথা। তার পরে ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি শহরের নানা জায়গায় ফ্যাসিবাদ-বিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন তাঁরা। অন্যান্য বামপন্থী সাংস্কৃতিক কর্মীরাও সোমবার জানিয়েছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি রাণুছায়া মঞ্চে তাঁরা সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার্থে সরব হবেন। বিজেপির অবশ্য কটাক্ষ, এ সবে কার কী যায় আসে!
ফ্যাসিবাদ-বিরোধী মহাসম্মেলনের পক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এ দিন সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের অবস্থা জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ। ফ্যাসিবাদের এই চরিত্র দেশ আগে দেখেনি।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘ইডি, সিবিআই, এনআইএ-কে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ তাঁর আশা, ‘‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী বৃহত্তর লড়াইয়ে সিপিএম বা তার গণসংগঠন, শাখা সংগঠনগুলি আমাদের সঙ্গে শামিল হবে।’’ অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, ‘‘বিজেপি ভারতের পক্ষে সব চেয়ে বিপজ্জনক। তবে মোদীর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করবেন, মানুষের কাছে তাঁদেরও বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে সেই পরিস্থিতি নেই।’’ পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না-করেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগামী নির্বাচনে শুধু বিজেপি ফ্যাসিবাদী দল, তাকে আটকাতে আমাকে ভোট দাও— বললে আর চিঁড়ে ভিজবে না। যা ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে, সব কিছু স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’’
পাশাপাশি, গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের পক্ষে প্রেস ক্লাবেই এ দিন আম্বিকেশ মহাপাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পুরো শরীর তৈরি হওয়ার আগেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। দেশ আজ বিজেপি-আরএসএস, মোদি-শাহের দ্বারা আক্রান্ত।’’ সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার ডাক দিয়ে ২০ তারিখের কর্মসূচিতে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রজত বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘এঁরা কেউ বিশিষ্ট নন। এঁরা পরিচিত, চিহ্নিত, বাছাই প্রতিবাদী। এঁরা এ সব বলবেনই। এঁদের বক্তব্য উড়িয়ে দেশের মানুষ নিজের স্বাভিমান, আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy