Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

Calcutta High Court: কাঁথির শ্মশানে স্টল ‘দুর্নীতি’, গ্রেফতার নয় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে, নির্দেশ হাই কোর্টের

অভিযোগ, শ্মশানের জমির চরিত্র বদলে অনুমতি পুরসভা দেয়নি। এই সংক্রান্ত বৈঠকও হয়নি। দোকান বানাবার কোনও ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ পুরসভায় নেই।

শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২ ১৬:১২
Share: Save:

কাঁথির শ্মশানের জমিতে স্টল নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর একক বেঞ্চের নির্দেশ, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না।

আগামী ১৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত পুলিশ ওই মামলায় কাউকে গ্রেফতার বা কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি চৌধুরী। এই মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভার সহকারী বাস্তুকার এবং এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, সৌমেন্দ্র অধিকারী চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাঙামাটি শ্মশানের জমিতে দু’কোটি টাকা খরচ করে কয়েকটি স্টল নির্মাণ করেছিল কাঁথি পুরসভা। স্টল নির্মাণ এবং বণ্টন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছিল বলে বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুবল মান্নার অভিযোগ। সম্প্রতি, এ বিষয়ে তিনি কাঁথি থানায় সৌমেন্দ্র-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। ধৃত সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরা পুরসভার তরফে ওই প্রকল্প তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। স্টল নির্মাণ করেছিলেন ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী।

কাঁথির বর্তমান পুরবোর্ডের দাবি, জমির চরিত্র বদলের কোনও অনুমতি পুরসভা দেয়নি, বা এই সংক্রান্ত মিটিংও পুরসভায় হয়নি। দোকান বানাবার কোনও ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ পুরসভায় নেই। এমনকি, কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। দোকানের মালিকরা বলেছেন যে তাঁরা এই দোকানের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু দোকান মালিকদের থেকে নেওয়া কোনও টাকা পুরসভায় জমা পড়েনি। অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের পদাধিকারীরা সরে যাওয়ার পর দেখা যায় তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি জানান, অভিযোগ উঠেছে ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় ১ কোটি টাকা দোকান মালিকদের থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা পুরসভার কোষাগারে গিয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

অন্য দিকে, সৌমেন্দুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই নিয়ে তিন বার সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল। রাজনৈতিক কারণেই বার বার এমন করা হচ্ছে। এর আগে ত্রিপল চুরি এবং কাঁথির প্রভাত কুমার মহাবিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। দু’বারই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE