প্রতীকী ছবি।
তিন কেন্দ্রের ভোটের পরে আরও চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কি ফের জোড়া লাগতে পারে বাম ও কংগ্রেসের জোট? নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই এই চর্চা ফিরে এসেছে রাজনৈতিক শিবিরে। ভবানীপুরের ‘বিভ্রান্তি’ থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আর আগ বাড়িয়ে হাত ধরতে চায় না সিপিএম। কংগ্রেসের তরফে প্রস্তাব পেলে তারা অবশ্য ভেবে দেখবে বলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর।
যে চার কেন্দ্রে আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হওয়ার কথা, তার দু’টিতে জিতেছিল বিজেপি এবং বাকি দু’টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টো দিকে, জোট-শিবিরের মধ্যে চার কেন্দ্র সমানুপাতে বিভক্ত ছিল! শান্তিপুরে প্রার্থী ছিল কংগ্রেসের, খড়দহে সিপিএমের। আর প্রথাগত ভাবে দিনহাটা ও গোসাবায় লড়াই করেছিল দুই বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি। শান্তিপুরে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অবশ্য বিধানসভা ভোটের আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানাপড়েন চলেছিল। এ বার শান্তিপুরে নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী রাখতে চায় সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘ভবানীপুর এবং শমসেরগঞ্জে যা হয়েছে, তার পরে কংগ্রেস নিজে থেকে প্রস্তাব না দিলে আমাদের পক্ষে জোটের পদক্ষেপ করা বিড়ম্বনার হতে পারে। আপাতত দল তার মতো প্রস্তুতি চালাবে।’’ খড়দহ কেন্দ্রে কয়েক মাস আগে ভোটে লড়া ছাত্র-নেতা দেবজ্যোতি দাসই ফের প্রার্থী হবেন, তা-ও ঠিক করে ফেলেছে সিপিএম।
ভবানীপুরে কংগ্রেসের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে অপেক্ষায় ছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত দিল্লির হস্তক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। তার পরে সেখানে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। আবার মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে বামেদের সমর্থন করা হবে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন। শমসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী তখন ভোটে লড়তে রাজি ছিলেন না। পরে তিনি ‘রাজি’ হয়ে যান এবং কংগ্রেস তাঁর হয়েই ময়দানে নেমেছে। ফলে, সেখানে কংগ্রেস ও সিপিএম দু’দলের প্রার্থী আছে। এক এক জায়গায় এই এক এক রকম অবস্থানের পরে এ বার কংগ্রেসকেই ‘বিভ্রান্তি’ কাটাতে হবে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘দিনহাটা বা গোসাবায় আমাদের বলার মতো কিছু নেই। শান্তিপুর বরং কংগ্রেসের পুরনো জায়গা। সেখানে আমরা একাই লড়ব নাকি বামেদের সঙ্গে জোটের পথে যাব, দলে আলোচনা করে দেখতে হবে।’’ ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার পরেও কংগ্রেস যে ভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে পড়ছে, তার জেরে শাসক দলের প্রতি ‘নরম’ থাকার মনোভাব আপাতত রাজ্য কংগ্রেসে স্তিমিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy