তন্ময় ভট্টাচার্য। —ফাইল ছবি।
মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছিল সিপিএম। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল আলিমুদ্দিন। শুক্রবার রাতে জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীকে ফোন করে তন্ময়ের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই মর্মে শনিবার জেলা সিপিএমের হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে সাসপেনশন প্রত্যাহারের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন মৃণাল।
জেলা সম্পাদক মৃণাল লিখেছেন, ‘‘কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্যকে তদন্ত সাপেক্ষে যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্য পার্টির স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করবেন।’’ এই প্রসঙ্গে তন্ময় বলেন, ‘‘আমি জেলা পার্টির হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে দেখেছি। আমাদের জেলা সম্পাদক ওখানে বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছেন। এ বার থেকে আমি দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে যোগ দিতে পারব। সেখানেই যা বলার বলব।’’
তন্ময় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, তাঁর ঘনিষ্ঠেরা একটি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। যার ফলে অনেকেরই ধারণা তৈরি হয়েছিল, ঘটনায় সত্যতা রয়েছে। অথচ সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল ‘চুপিচুপি’। নিউ ব্যারাকপুরের তন্ময়-ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘অভিযোগ ওঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তন্ময়দাকে। কিন্তু যখন প্রত্যাহার হল, তখন সে ভাবে করা হল না। এটা কি কোনও প্রক্রিয়া হতে পারে?’’
রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘সাসপেন্ড করা হয়েছিল তদন্ত চলা পর্যন্ত। তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গেই সেলিমের সংযোজন, ‘‘তদন্তে রিপোর্টে কী রয়েছে, তার ভিত্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’’
তন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে গত ২৭ অক্টোবর। ফেসবুক লাইভে এক মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে তন্ময় তাঁর ‘কোলে বসে পড়েন’। ওই দিন বিকেলেই সিপিএমের তরফে রাজ্য সম্পাদক সেলিম জানিয়ে দেন, দল তন্ময়কে সাসপেন্ড করছে। তাঁর বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত করবে। যত দিন সেই তদন্ত চলবে, তত দিন তন্ময় সাসপেন্ড থাকবেন। তদন্ত শেষ হলে সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর মধ্যে তন্ময়কে ডেকে বরাহনগর থানা একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পাশাপাশিই, দলের অভ্যন্তরীণ তদন্তেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন তন্ময়। এ ছাড়া অভিযোগকারী মহিলা সাংবাদিক-সহ আরও কয়েক জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ওই কমিটি।
সাসপেনশন প্রত্যাহার হলেও সিপিএমে এখন কৌতূহল— তদন্ত কমিটি কী রিপোর্ট জমা দিল এবং কবে তা জানা যাবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy