প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এক মাসেরও বেশি পিছিয়ে গেল সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। একই সঙ্গে পিছিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি জেলার সম্মেলনও। করোনা সংক্রমণ আবার নতুন করে বাড়তে শুরু করায় দলের চলতি সম্মেলন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। এ বার সম্মেলন-পর্বের সংশোধিত সূচি তৈরি করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হাল এখন কেমন এবং পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসতে কত দিন সময় লাগতে পারে, সেই বিষয়ে চিকিৎসক মহলের মতামত নিয়েছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্রই এই ব্যাপারে সমন্বয়ের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। আলিমুদ্দিনে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের ২৩তম রাজ্য সম্মেলন হবে আগামী ২৯ থেকে ৩১ মার্চ। কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আগে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। রাজ্য সম্মেলনের স্থল একই থাকছে। প্রসঙ্গত, সিপিএমের রাজনীতিতে আর এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য কেরলের রাজ্য সম্মেলন এ বার হওয়ার কথা কোচিতে মার্চের একেবারে গোড়ায়।
দলীয় সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হবে কলকাতা জেলা সম্মেলন। হাওড়ার জেলা সম্মেলনও হবে ওই সময়ে। মার্চের প্রথমে জয়নগরে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন, মাঝামাঝি সময়ে নৈহাটিতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্মেলন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্মেলনও পিছিয়ে পরিবর্তিত সূচি মেনে হবে। একমাত্র মালদহ জেলা সিপিএমের নেতৃত্ব আলিমুদ্দিনকে জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় পরিস্থিতি তত ভয়াবহ নয়। জেলা সম্মেলনের জন্য যে প্রেক্ষাগৃহে ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে প্রতিনিধিদের তুলনায় অনেক জায়গাও রয়েছে। ফলে, কোভিড-বিধি মানতে অসুবিধা নেই। তাই আগামী ১৯-২০ জানুয়ারি পুরনো সূচি মেনেই মালদহ জেলা সম্মেলন হবে বলে সিপিএম সূত্রের খবর।
সম্মেলন-পর্বের পর্যালোচনার জন্য আগামী ২৮-২৯ জানুয়ারি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা আছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওই বৈঠক ভার্চুয়াল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘চিকিৎসক মহলের কাছ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, মাঝ-ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভিডের এই বর্তমান ঢেউ অনেকটাই কমে আসতে পারে। সেই অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চ জুড়ে বাকি জেলা সম্মেলন সেরে নিয়ে মার্চের শেষে রাজ্য সম্মেলন করতে চাই আমরা। তার পরে ৬ এপ্রিল থেকে কান্নুরে পার্টি কংগ্রেস শুরু হবে, সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে সব জেলার প্রতিনিধিদের।’’ আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি একান্তই নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে প্রয়োজনে পার্টি কংগ্রেসের পরে রাজ্য সম্মেলন করার আপৎকালীন পদক্ষেপও ভেবে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy