অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকা থেকে ৩৫টি অংশকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এ বার সরব হল সিপিএম। এই বিষয়ে আগেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ‘তোষণ নীতি’র অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সিপিএম অবশ্য রাজ্যের তৃণমূলের সহায়তায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘সংখ্যালঘু-বিরোধী পরিকল্পনা’র দিকে তোপ দেগেছে।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের রাজ্য দফতরে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকার ‘ওবিসি-এ’ থেকে ৩৫টি অংশকে বাদ দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার। এই ৩৫টি অংশই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের। অনেক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে সামাজিক বিচারে বঞ্চিত সংখ্যালঘুদের এই তালিকায় আনা হয়েছিল। রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের পদক্ষেপের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেলিমের বক্তব্য, ‘‘কলকাতা হাই কোর্ট বারবার আইন সংশোধন করে নিতে বলেছিল। তৃণমূল সরকার তা করেনি। কেন্দ্রের হাতে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এই সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের সুযোগ ছিল। কিন্তু তা ব্যবহারের সুযোগ দেয়নি তৃণমূল সরকার। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ওবিসি-এ’র উল্লেখ ছিল না।’’ বিজেপিকে হাতিয়ার তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে সিপিএমের দাবি। তৃণমূল অবশ্য এর ‘দায়’ চাপাচ্ছে পুরনো বাম সরকারের ঘাড়েই। আর তৃণমূল ও সিপিএমকে এক বন্ধনীতে এনে পাল্টা বিঁধছে বিজেপি। তাদের দাবি, বামেরা এক দিকে সংখ্যালঘু মন জয়ের চেষ্টা করছে আবার তৃণমূলের ‘মদতে’ হিন্দু ভোট কাটার চেষ্টাও করছে। যাদবপুর-সহ রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ দিন ফের দাবি করেছেন, ‘‘বাম প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তারা হিন্দু ভোট কাটতে পারছে না। কিন্তু হিন্দু ভোট না কাটতে পারলে তৃণমূলের ক্ষতি। তাই ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচ’ খেলে বামেদের একটু তোল্লা দেওয়া হচ্ছে, যাতে কিছু হিন্দু ভোট কাটতে পারে!’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)