যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ১০০ দিন পেরোনো উপলক্ষে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বাম নেতা ও বিশিষ্টরা।—নিজস্ব চিত্র।
কমিউনিটি কিচেন, সব্জির বাজার বা ক্যান্টিন চালানো, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই সমস্ত উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে বামেরা। যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ১০০ দিন অতিক্রম করা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে গিয়ে রবিবার এই বার্তাই দিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। সেই সঙ্গেই তাঁদের লক্ষ্য এই ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির আঙিনায় সক্রিয় রাখা।
যাদবপুরের নবনগরে শ্রমজীবী ক্যান্টিনে ২০ টাকায় মিল পাওয়া যাচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে চালু হলেও ক্যান্টিন চালানো হবে সারা বছর। ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পরে আরও এমন ক্যান্টিন খোলা হয়েছে। আর এ দিনের অনুষ্ঠানে বিমানবাবু বলেছেন, দাতা-গ্রহীতা নয়, মানবিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সেলিমের কথায়, ‘‘টিভি চ্যানেলে কার্টুন বা মোবাইলে ফেসবুক, গেম্স দেখে যে প্রজন্ম বড় হচ্ছে, তারাই কিন্তু সঙ্কটের সময়ে প্রাণ বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা কিন্তু কার্টুন নয়!’’ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, পরিচালক অনীক দত্ত প্রমুখ।
সমাজকর্মী জ্যোতিদেবীর নামাঙ্কিত অছি পরিষদ গড়ে যাদবপুরের ওই ক্যান্টিন চালানোর হলেও নেপথ্যে মূল ভূমিকা সিপিএমের। এ রাজ্যে তাদের এমন উদ্যোগ এই প্রথম। করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন এবং তার পরে আমপান-এর ঘটানো বিপর্যয়ের মধ্যে সব গণসংগঠনকেই নামিয়ে বিপন্ন মানুষের জন্য ত্রাণ ও সহায়তার কাজ করছে সিপিএম। বিরোধী দল হিসেবে শুধু সরকারের সমালোচনাই নয়, তাদের ‘ইতিবাচক’ কাজ যে ভবিষ্যতের পুঁজি হতে পারে, তা জেনেই যাবতীয় উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy