Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

পাশে নেই নেতারা, ক্ষোভ সিপিএম বিধায়কদের 

লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে সিপিএমের বিধায়কদের মত শুনতে বুধবার তাঁদের ডাকা হয়েছিল আলিমুদ্দিনে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০২:৪৮
Share: Save:

রাজ্যের নানা জায়গায় শাসক দলের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতৃত্বকে সে ভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে আলিমুদ্দিনে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম বিধায়কদের বড় অংশ। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির চাপে নিরাপত্তা পাওয়ার আশায় বাম সমর্থক ও বাম-মনস্ক বহু মানুষের ভোট এ বার বিজেপিতে চলে গিয়েছে।

লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে সিপিএমের বিধায়কদের মত শুনতে বুধবার তাঁদের ডাকা হয়েছিল আলিমুদ্দিনে। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর আর এক সদস্য অশোক ভট্টাচার্য ছিলেন বৈঠকে। তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দিয়ে যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে সিপিএমের এখনকার ২১ জন বিধায়কের মধ্যে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন এ দিন। পাণ্ডুয়ার বিধায়ক আমজাদ হোসেন শুধু রাজ্যের বাইরে থাকায় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। মেরুকরণের ভোটের কথা বলার পাশাপাশিই একাধিক জেলার বিধায়কেরা তাঁদের এলাকার কঠিন পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন বৈঠকে।

বিরোধী ভূমিকায় এসে পরিষদীয় দলের সঙ্গে রাজ্য দফতরের সমন্বয় রাখার জন্য কমিটি গড়েছিল সিপিএম। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে বার তিনেকের বেশি সেই কমিটি দলের রাজ্য নেতৃত্ব ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকেই বসেনি। এ বার বৈঠক ডাকা হল দীর্ঘ দিন পরে। দলীয় সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার মতো কিছু জেলার বিধায়কেরা তাঁদের এলাকার উদাহরণ দিয়ে অভিযোগ করেন, হামলা এবং মিথ্যা মামলায় বাম কর্মী-সমর্থকেরা জেরবার হয়েছেন। তার পরেও তাঁরা লড়াই ছেড়ে যাননি। কিন্তু দলের কিছু ঘোষিত কর্মসূচি বাদে নেতারা তাঁদের পাশে ভরসা দিতে যাননি। এর ফলে দলের নিচু তলার মধ্যে এক ধরনের ‘বিচ্ছিন্নতা’ কাজ করেছে। প্রশাসনিক ভাবে এখন বিরোধী নেতাদের কিছু যে করার নেই, তা কর্মী-সমর্থকেরা জানেন। বিধায়কদের মতে, তাঁরা কঠিন সময়ে নেতাদের পাশে দেখতে চান।

সূর্যবাবুরা বিধায়কদের পরামর্শ দিয়েছেন, এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে সব বাম বিধায়কই এ বার নিজেদের কেন্দ্রে পিছিয়ে। তবু স্থানীয় বিষয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে বিধায়কদের বলা হয়েছে। এক বিধায়কের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে স্থানীয় স্তরে মিছিল-মিটিং সব জায়গায় করা যাবে না। কিন্তু মাটি কামড়ে আমাদের পড়ে থাকতে হবে।’’

কংগ্রেসের পরিষদীয় দলে অবশ্য বিভ্রান্তি অব্যাহত। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে এ দিন প্রদেশ কংগ্রেসের আলাদা প্রতিনিধিদল ও দুই বিধায়ককে নিয়ে আর একটি দল আলাদা করে যায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পরিস্থিতি দেখতে যান বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, যোগাযোগ না হওয়ায় এ দিন বিধায়কদের দল যেতে পারেনি। ফের সেই চেষ্টা হচ্ছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Political Violence Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy