নিরাপদ সর্দার। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। তাঁর মুক্তির দাবিতে সোমবার সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকল সিপিএম। বন্ধের ঘোষণা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লক বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের দাবি, নিরাপদ-সহ যে সব ‘নিরাপরাধ’দের গ্রেফতার করছে পুলিশ, তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ঘটনাচক্রে, রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।
রবিবার কলকাতার বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ। দীর্ঘ ক্ষণ বাঁশদ্রোণী থানায় আটকে রাখার পর দুপুর নাগাদ সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট থানায়। সেখানেও সন্ধ্যায় বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভের জেরে বসিরহাট থানার সামনের গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও খবর।
বস্তুত, সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ-সহ ১১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরাকে খুনের চেষ্টা, উস্কানি দেওয়া, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে বলা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেওয়া এবং সর্বোপরি বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। শিবুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ যৌথ ভাবে নিরাপদকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এর প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সিপিএম নেতৃত্ব। বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালিতে গ্রেফতারের কথা শেখ শাহজাহানকে। শিবু হাজরাকে। তাঁদের বদলে গ্রেফতার করা হল সিপিএম নেতাকে! পুলিশের এই কাজের প্রতিবাদে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেবে সিপিএম।’’ শুধু তাই নয়, পরোয়ানা ছাড়াই নিরাপদকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। যে অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তিনি গত কয়েক দিন সন্দেশখালিতে ছিলেনই না। তিনি দলের কাজে মণিপুর থেকে মেদিনীপুর হয়ে বীরভূমে ছিলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে যে ১০০-র বেশি মানুষের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই তালিকার প্রথমেই তাঁর নাম রয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে নিরাপদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশ। এ নিয়ে চাপানউতরের মধ্যেই নিরাপদকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy