কৃষক সভার সম্মেলন থেকে রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি হলেন অমল হালদার ও বিপ্লব মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
দলের রাজ্য সম্মেলনের আগে কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তন নিয়ে এল সিপিএম। কৃষক সভার ত্রিস্তরীয় কমিটিতেই এ বার আনা হল বড় সংখ্যায় নতুন মুখ। দলের কাজ করতে গিয়ে কৃষক সংগঠনে সময় দিতে পারেন না বলে কৃষক সভার কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, মদন ঘোষের মতো নেতারা। তবে রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি পদ ঘিরে প্রশ্র রয়েছে কৃষক সংগঠনের অন্দরে।
হাওড়ার শরৎ সদনে কৃষক সভার ৩৭তম রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ধমানের অমল হালদার। রাজ্য সভাপতি পদে এসেছেন বিপ্লব মজুমদার। যিনি এখন সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক। কৃষক সভার একাংশের প্রশ্ন, গণসংগঠনে দায়িত্ব পালন করেই দলের কাজের জন্য হাত পাকানো সিপিএমের নীতি। কিন্তু অমলবাবু-বিপ্লববাবুরা নিজেদের জেলায় দলের কর্তৃত্ব করার পরে তাঁদের আবার গণসংগঠনের পদে রাখা হল! প্রসঙ্গত, বিপ্লববাবুর মেয়ে পৌলবী মজুমদার এ বারই যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতা জেলা সম্পাদক হয়েছেন। বাবা-মেয়ে এক সঙ্গে দুই গণসংগঠনের পদে, এমন ঘটনাও সিপিএমে বিরল বলে মনে করছেন দলের অনেকেই।
কৃষক সভার নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে অধিকাংশই অবশ্য নতুন মুখ। মোট ২৩ সদস্যের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে নতুন এসেছেন ১৪ জন। রাজ্য কমিটি হয়েছে ৫৫ জনের, তার মধ্যে নতুন মুখ প্রায় ৫০%। আর ১২৩ সদস্যের রাজ্য কাউন্সিলে নতুন প্রায় ৭০%। রাজ্য কাউন্সিল থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন সূর্যবাবু, মদনবাবুরা। বাংলার কৃষক সভার এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভিন্ রাজ্যের কৃষ্ণ প্রসাদ, বাদল সরোজ, পবিত্র করেরা। তাঁদের বার্তা, বাংলায় কৃষক আন্দোলনের যে পরম্পরা রয়েছে, সেই অভিজ্ঞতায় ভর করেই এখানে ফের বড় সংগ্রাম গড়ে উঠতে পারে। বাংলায় কৃষক আন্দোলন দুর্বল হলে গোটা দেশেই তার প্রভাব পড়বে। ত্রিপুরার উদাহরণ দিয়ে পবিত্রবাবু বলেন, বিজেপির ‘ফ্যাসিবাদী হামলা’র মুখেও সে রাজ্যের বাম কর্মীরা লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি। সরোজের বক্তব্য, দিল্লির কৃষক আন্দোলন ধর্ম, জাতপাতের বেড়া ভেঙে দিয়েছে।
রাজ্যে আইন পাশ করে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবিও উঠেছে সম্মেলনে। প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে এসেছে এ রাজ্যে ফসলের দাম না পাওয়া এবং বিভিন্ন মাইক্রো-ফিন্যান্স সংস্থার ঋণের জালে কৃষকদের জড়িয়ে পড়ার সমস্যার কথা। তাঁদের বক্তব্য, চুক্তি-চাষ বাড়ছে এ রাজ্যেও। কৃষকের আয় তিন গুণ বেড়েছে বলে রাজ্য যে দাবি করছে, বাস্তব তার সঙ্গে মিলছে না বলে প্রতিনিধিদের অভিযোগ। সর্বভারতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি স্থানীয় দাবি ও সমস্যা চিহ্নিত করেও পথে নামবে কৃষক সভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy