Advertisement
E-Paper

BY Election: হইচই নয় ভোট প্রচারে, বাম নজর তৃণমূলে

ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রের ভোটে যেমন ছিল, এখন চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারকে তার চেয়েও নিচু তারে বেঁধে রাখতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৫:১০
Share
Save

এমনিই ভোটের ভাঁড়ে মা ভবানী! মাসখানেক আগে ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রের ভোটে যেমন ছিল, এখন চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারকে তার চেয়েও নিচু তারে বেঁধে রাখতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস। তাদের সামনে লক্ষ্য এখন দু’টো। প্রথমত, ভোটপ্রাপ্তির হার যতটুকু পারা যায়, উন্নত করা। এবং দ্বিতীয়ত, পুরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম ও কংগ্রেসের সমঝোতাকে আবার লাইনে ফেরানো।

উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রের মধ্যে খড়দহ, দিনহাটা ও গোসাবায় লড়ছে বামেরাই। সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী নেই। একমাত্র শান্তিপুরে দু’পক্ষই প্রার্থী দিয়েছে। এখনও অবধি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের যা পরিকল্পনা, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আপাতত প্রচারে যাচ্ছেন না। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরা প্রচারে যাচ্ছেন। তবে হাতে গোনা দু-একটা সভা ছাড়া প্রচারে কোনও চোখে পড়ার মতো কর্মসূচি নেই। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির দলীয় নেতৃত্বকে আলিমুদ্দিনের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এলাকায় একেবারে স্থানীয় স্তরে জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিতে হবে। যাতে একই সঙ্গে পুরসভার ভোটের প্রস্তুতিও খানিকটা সেরে রাখা যায়।

শান্তিপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের কারও এখনও পর্যন্ত নদিয়ার ওই কেন্দ্রে প্রচারের কর্মসূচি ঠিক হয়নি। প্রার্থী এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁর মতো প্রচার করছেন। সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন পালের ওই এলাকায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তুলনায় ভাল বলে বাম ও কংগ্রেস, দুই শিবিরের নেতারাই মানছেন। গত দু’বার জোটের মধ্যে শান্তিপুর আসনটি যে হেতু কংগ্রেসকে ছেড়েছিল বামেরা, সেই সূত্র ধরেই ওখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু প্রচারে তারা তেমন জোর দিচ্ছে না। বাকি তিন কেন্দ্রে পুরো লড়াইটাই বামেদের।

এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবাবুর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথা হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে মেরুকরণের আবহ শিথিল না হলে ভোটে তাঁদের পক্ষে তেমন কোনও আশা নেই। এমতাবস্থায় উপনির্বাচনে কার প্রার্থী থাকল বা থাকল না, তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামানোর কিছু নেই। দু’পক্ষের যৌথ কর্মসূচি আবার শুরু করতে না পারলে জোটের বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া সম্ভবও নয়। তৃণমূল এখন যে ভাবে নিয়মিত কংগ্রেসকে বিঁধে চলেছে, তাতে ওই দু’দলের নতুন সমীকরণ গড়ে ওঠা এই মুহূর্তে মুশকিল। তাই বাম ও কংগ্রেসের সমঝোতাকে রক্ষা করার প্রসঙ্গই উঠে এসেছে দু’পক্ষের দুই নেতার কথায়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘ভোটের সমীকরণে এখনই কোনও পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। নিজেদের হারানো সমর্থন যতটুকু ফেরানো যায়, সেই চেষ্টাই আমরা করব।’’ আর প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলছেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার-বিরোধী কর্মসূচি নিয়েও বাম ও কংগ্রেস যদি ফের একসঙ্গে রাস্তায় নামা যায়, তেমন পরিকল্পনা করা দরকার।’’

TMC CPM Congress by election

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}