Advertisement
E-Paper

Amit Shah: অমিত তো ‘ডেপুটি চৌকিদার’, গরুপাচার আটকাতে পারছেন না কেন? প্রশ্ন সেলিমের

সেলিমের আক্রমণ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন,  সিবিআই স্বশাসিত একটি সংস্থা। এতে তৃণমূলের কোন যোগ নেই সেটা ওনার জানা উচিৎ।

অমিত শাহ-মহম্মদ সেলিম।

অমিত শাহ-মহম্মদ সেলিম। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ১৯:২৫
Share
Save

বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশ, পাচারের মতো বেআইনি ঘটনার জন্য অমিত শাহকেই দোষী ঠাওরালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর দাবি, সীমান্ত রক্ষার দায় বিএসএফের, আর এই কেন্দ্রীয় বাহিনী অমিতেরই দফতরের অধীন। কারণ অমিত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই তাঁর অধীনস্থ বাহিনী যদি সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারে, তবে সেই দায় অমিতের উপরেই বর্তায়। এ প্রসঙ্গে সেলিমের সংযোজন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফকে টাইট দিতে পারছেন না বলেই সীমান্তে পাচারের মতো বেআইনি কাজ বন্ধ হচ্ছে না।’’

বৃহস্পতিবারই হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফের ভাসমান চেক পোস্ট উদ্বোধন করতে এসে অমিত বলেছিলেন, নতুন নজরদারির প্রক্রিয়ায় সীমান্তের বেআইনি কার্যকলাপ আটকানো যাবে। এমনকী, বিএসএফের প্রশংসাও করে অমিত বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা কী প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করেন আমি বুঝি। ওঁরা ভাল কাজ করছেন।’’ অমিতের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গেই সেলিমের নিদান, ‘‘সীমান্তে গরুপাচার থেকে শুরু করে সবরকম চোরাচালান চলছে। সিবিআই অনুব্রতকে ডেকে পাঠাচ্ছে, এদিক তিনি হাসপাতালে গিয়ে লুকোচ্ছেন। আসলে সবই বিজেপি তৃণমূলের বোঝাপড়ার ব্যাপার। সীমান্তে বেআইনি কার্যকলাপে যেমন তৃণমূল জড়িত তেমনই তাতে মদত আছে বিজেপিরও।’’

শুক্রবার মেদিনীপুর জেলা সিপিএম অফিসে একটি বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন সেলিম। বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন হাম সব চৌকিদার। প্রধানমন্ত্রী যদি চৌকিদার হন তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিশ্চয়ই ডেপুটি চৌকিদার! অথচ তাঁরই দায়িত্বে থাকা সীমান্তের চৌকিগুলোতে শুধু খানাপিনা আর চোরা কারবার হচ্ছে।’’ সেলিমের কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে অনুপ্রবেশের কথা বলেছেন, তাঁর এ কথা স্বীকার করার অর্থ তো নিজেরই অপদার্থতার কথা স্বীকার করে নেওয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফ-এর জেট নিয়ে রাজনৈতিক কাজে ঘুরতে পারেন। তাদের লাক্সারি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, তাদের টাইট করতে পারেন না।’’ বিজেপির পাশাপাশি মাওবাদী প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকেও আক্রমণ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সভাপতি। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বলেছিলেন মাও বলে কিছু নেই। অথচ সেই মাওবাদীকেই আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি।

সেলিমের আক্রমণ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, সিবিআই স্বশাসিত একটি সংস্থা। এতে তৃণমূলের কোন যোগ নেই সেটা ওনার জানা উচিৎ। একসময় জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর হাত ধরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম দখল করেছিল সিপিএম। মাওবাদী বলে যে কিছু নেই আসলে যে পুরোটাই পেটের লড়াই তা মুখ্যমন্ত্রী মমতাই বুঝেছিলেন। তিনি তার ব্যবস্থাও করেছেন।

অমিতকে আক্রমণ নিয়ে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘‘ওঁর বয়স হয়েছে তাই ভুলে যাচ্ছেন, এ বার অবসর নেওয়া উচিত। আসলে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে বামেরা। বুদ্ধ বাবুর আমলে অনুন্নয়নের জেরে মাওবাদী উৎপাত বেড়েছিল। মাওবাদী সমস্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কি ভূমিকা রয়েছে তা জঙ্গলমহলের মানুষ ভালো ভাবেই জানেন।’’

Mohammed Salim Amit Shah CPIM BJP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।