ভবানীপুরে সিপিম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের সঙ্গে প্রচার-সভায় মহম্মদ সেলিম ও দীপ্সিতা ধর। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দৌলতে যে ‘দুষ্টচক্র’ গড়ে উঠেছে, তাকে ভাঙার ডাক দিল সিপিএম। রাজ্যে তৃণমূলের বিকল্প কোনও ভাবেই বিজেপি হতে পারে না, তিন কেন্দ্রের ভোট ও উপনির্বাচনের প্রচারে এই কথাই বলছেন সিপিএম নেতৃত্ব। পাশাপাশিই, পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হচ্ছেন তাঁরা।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে শুক্রবার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে গুপ্তা মোড়ে সভা করেছেন সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। ছিলেন ছাত্র সংগঠনের নেত্রী দীপ্সিতা ধরও। সেলিম বলেন, ‘‘অনেকে মনে করেছিলেন, বিজেপিক সমর্থন করলে তৃণমূলের বিকল্প পাওয়া যাবে। উল্টোটাও ভেবেছেন বহু মানুষ। কিন্তু ভোটের পরে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির নেতা, বিধায়ক, সাংসদেরা দলে দলে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ভোটের ফল যদি উল্টোটা হত, তা হলেও দেখা যেত তৃণমূলের যে নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টিকার-সাঁটা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান, তাঁরাই আগে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতেন!’’ বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক ভাষ্যে বিরাট কোনও তফাত নেই বলে উল্লেখ করে সেলিমের আহ্বান, ‘‘সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার এই দুষ্টচক্র আমাদের ভাঙতে হবে।’’ ভবানীপুরে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে বাম নেতাদের আরও বক্তব্য, শুধু একটা কেন্দ্রের জন্য গোটা কলকাতা পুরসভা যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সেই তৎপরতা অন্যত্র দেখালে জমা জলে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে ১৬টা প্রাণ ঝরে যেত না!
শ্রীজীবের সমর্থনে আগে প্রচারে গিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেছেন, বিজেপির সরকার পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। আর তৃণমূল রাজ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না করে শুধু চমক এবং সস্তার রাজনীতিতে গিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি করছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আর এক সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিনই শমসেরগঞ্জে প্রচারে গিয়ে বলেছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে ভোট দিলে বিজেপির লোক আবার তৃণমূলে যোগ দেবেন না, কী নিশ্চয়তা আছে! তৃণমূলের তাপস রায় অবশ্য বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ভরসাযোগ্য শক্তি এখন মমতাই। আর বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে গিয়ে বামেরা এখন নানা কথা বলছে।
ভবানীপুরের রমেশ মিত্র রোডে আজ, শনিবার সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের সভা হওয়ার কথা ছিল। কমিশনের কাছে সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব অভিযোগ করেছেন, আগে আবেদন করা সত্ত্বেও ওই এলাকায় তৃণমূলের কর্মসূচি থাকার কারণ দেখিয়ে তাঁদের সভার অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট ওসি-কে রেখে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয় বলেও কমিশনের কাছে দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy