সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। ছবি সংগৃহীত।
বিহারে তিন বাম দল সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন লড়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোটের শরিক হয়ে। বিহারের সেই ভোটের পর থেকে লিবারেশন নেতৃত্ব সওয়াল করে আসছেন, বাংলায় অন্য সকলের চেয়ে বিজেপিকেই ‘বড় শত্রু’ চিহ্নিত করে লড়া উচিত বামেদের। এই প্রশ্নে সিপিএমের মতকেই সমর্থন করলেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। সীতারাম ইয়েচুরির মতো রাজারও যুক্তি, বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ক্ষোভকে উপেক্ষা করে শুধু বিজেপিকে নিশানা করতে গেলে আসলে গেরুয়া শিবিররেই সুবিধা করে দেওয়া হবে।
সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন রাজা। বৈঠকে বাংলার পরিস্থিতি ও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরে রবিবার রাজা বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চাইছেন মোহন ভাগবতেরা। বিভাজন এবং ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়াই আরএসএস-বিজেপির লক্ষ্য। বিজেপি সরকারের আমলে দেশে শিল্প বেহাল, কর্মসংস্থান তলানিতে। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ, গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন পড়ছে। শিল্পকে বেহাল করার পরে বিজেপি সরকার এখন কৃষিকে ধ্বংস করতে চাইছে, তাই কর্পোরেটের স্বার্থে কৃষি আইন এনেছে। রাজার কথায়, ‘‘বিজেপি মানে সর্বনাশ। আমরা বিজেপিকে আটকাতে চাই সারা দেশে এবং অবশ্যই এই রাজ্যেও। কিন্তু তৃণমূল এখানে শাসক দল। মানুষের ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কে বিজেপিকে এখানে সুযোগ দিয়েছে? কেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছে লোকজন? এইগুলোও ভাবতে হবে।’’
রাজা বলেছেন, ‘‘বাংলার মানুষ বিজেপিকে আটকাবেন। নির্বাচনে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও আটকাতে বামফ্রন্ট পদক্ষেপ করছে। কংগ্রেসও এই বিষয়ে এগিয়েছে।’’ সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে’ গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ তৃতীয় বিকল্প তাঁরা মানুষের সামনে আনতে চান। স্বপনবাবুকে সঙ্গে নিয়ে আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য দফতরেও গিয়েছিলেন রাজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy