পোস্তা বাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। —নিজস্ব চিত্র
কালীঘাটের বাসভবন থেকে নবান্ন যাওয়ার পথে সোমবার ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে ঢুকে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পোস্তায় পাইকারি বাজার ও কোলে মার্কেট ঘুরে আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। জানতে চান, ‘‘কী দরে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে? ট্রাক ঢুকতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না?’’
পোস্তার আড়তদারেরা সিপি-কে জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে। নাশিকের পেঁয়াজ কম আসছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে মূলত উত্তর ভারতের আলোয়ার থেকে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনেকটাই দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোলে মার্কেটেও পেঁয়াজের পাইকারি বাজারদর জানতে চান সিপি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিসি (এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ) বিশ্বজিৎ ঘোষ। ওই বাজারে কোথা থেকে পেঁয়াজ আসে, খোঁজ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিপি জানতে চান, কবে দাম স্বাভাবিক হতে পারে।
পরে কমিশনার বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দামের উপরে নজর রাখছে আগে থেকেই। কালোবাজারির জন্য কোথাও পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে কি না, তার খোঁজ নিয়েছি। এর পরে নিজেদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করব।’’
যতীন্দ্রমোহন সাহা নামে পোস্তার এক আড়তদার সিপি-কে জানান, আলোয়ার থেকে আনা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে (পাইকারি) বিক্রি করা হচ্ছে। রাজ্যের টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য কমল দে কোলে মার্কেটে সিপি-কে বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজে আমদানি বাড়লেই দাম কমবে।’’ কমলবাবুর দাবি, ‘‘গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার থেকে কোলে মার্কেটে নাশিকের নতুন পেঁয়াজ বেশি করে ঢুকছে। তার জেরে মঙ্গলবার থেকেই পেঁয়াজের খুচরো দাম কমেছে।’’ ল্যান্সডাউন, উল্টোডাঙা, মানিকতলা, কলেজ স্ট্রিটে এ দিন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও লেক, গড়িয়াহাট, রাজডাঙা বাজারে দর ছিল ১৪০।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে এ দিন ভাঙড়ে এক দোকানদারের সঙ্গে বচসা বাধে ক্রেতার। দোকানি চড়া গলায় ওই ক্রেতাকে সরে যেতে বলেন। বিডিও (ভাঙড়-২) কৌশিককুমার মাইতি অফিসারদের নিয়ে ওই দোকানে হাজির হন। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রিয়রঞ্জন দাস, কৃষি দফতর ও পুলিশের কর্তারা দোকানদারের কাছে চালান দেখতে চান। ভোলানাথ মণ্ডল নামে ওই দোকানদার বলেন, ‘‘স্যর, আমরা কোলে মার্কেট থেকে ধারবাকিতে মালপত্র এনে বিক্রি করি। ওরা কোনও চালান দেয়নি।’’ ভোলানাথের গুদামে কয়েক বস্তা পেঁয়াজ দেখে প্রশাসনিক কর্তারা জানতে চান, ‘‘চালান নেই, অথচ এত মালপত্র তুললেন কী ভাবে? বাজেয়াপ্ত করলে ভাল হবে? কী দরে পেঁয়াজ কিনেছেন?’’ কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দেননি দোকানদার।
প্রশাসনিক হানার কথা চাউর হতেই ১৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম কমে হয়ে যায় ১১০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy