অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। — নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ভর্তি করে নিল হাসপাতাল। একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, মন্ত্রীর সুগারের সমস্যা বেড়েছে। তাঁর শরীরে মাথা ঘোরা, বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। পরীক্ষা করে শারীরিক অন্যান্য জটিলতাও ধরা পড়েছে তাঁর। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। তাই তাঁকে ভর্তি করানো হচ্ছে হাসপাতালে।
এমআরআই করা হল মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের। স্ক্যান করারও পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রীকে ক্রিটিকাল কেয়ারে ভর্তি করানোর দরকার বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আবার অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নিয়ে আসা হল হাসপাতালের মূল ভবনে। মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে এ খানে।
বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বালুকে। সেখানেই দু’জন চিকিৎসক দেখছেন তাঁকে। তবে এখনও হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।
কোর্টরুমে অসুস্থ হয়ে পড়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকল অ্যাম্বুল্যান্স। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী-কন্যা ছাড়াও রয়েছেন ইডির অফিসার এবং কেন্দ্রীয়বাহিনী।
বাবা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে আদালত চত্বর থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। অ্যাম্বুল্যান্সের জানলা দিয়ে দেখা গেল বাবার গায়ে নিজের সালোয়ারের ওড়না চাপা দিয়ে রেখেছেন কন্যা। এসি অ্যাম্বুল্যান্সে সম্ভবত ঠান্ডা লেগে থাকবে মন্ত্রীর। কন্যা প্রিয়দর্শিনী হয়তো ও ভাবেই তাঁকে সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের ১০ দিনের ইডি হেফাজত শুরু হবে, বলে জানিয়ে দিল কোর্ট। আপাতত তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ জোগাবে পরিবারই।
মন্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হল নতুন অ্যাম্বুল্যান্স। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী এবং কন্যা। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। কোর্ট জানাল হাসপাতালবাসের খরচ জোগাবে পরিবারই।
আদালতে বিচারকের বাতানুকূল ঘরে অপেক্ষা অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষা করছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সঙ্গীরা।
কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে যাচ্ছেন না বালু। বদলে অন্য অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাঠানো হল। চলছে সেই অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছনোর অপেক্ষা।
কোর্ট জানিয়েছে, মন্ত্রীকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান বালু (মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডাকনাম)। ওখানেই তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আদালত বলেছে, সুস্থ হলে তবে তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। না হলে নয়।
অসুস্থ মন্ত্রী হাসপাতালে যেতে চেয়েছেন। তাঁর পরিবারও চেয়েছে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। বিচারক বললেন, মন্ত্রীকে তাঁর এবং পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
আদালত চত্বরে এসে হাজির হয়েছে কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্স। মন্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু।
অসুস্থ মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হল বিচারকের বাতানুকূল ঘরে। আদালত চত্বরে ডাকা হল অ্যাম্বুল্যান্স। মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আনা হয়েছে স্ট্রেচারও।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। অর্থাৎ আগামী ১০ দিন তিনি থাকবেন ইডি হেফাজতেই।
কোর্ট রুমের বাইরে পাখা চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বমিও করছেন। তাঁর দাদাকে দেখা যায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে। ইডির প্রতিনিধিরাও মন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান। যদিও তত ক্ষণে আদালতে ইডির বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। মন্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ইডিকে দায়ী করে ‘শেম অন ইডি’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেছেন অনেকে।
আদালতে শুনানি চলাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন বালু। সওয়াল জবাবের সময় ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ বসে পড়েন। কোর্ট রুমে অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাম্বুল্যান্স বলে চিৎকার শুরু হয়। মন্ত্রীর কাছে ছুটে যান মন্ত্রী কন্যা। পুলিশ এগিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসা অবস্থাতেই তাঁকে বাইরে নিয়ে আসে। বাইরে তাঁকে একটি বেঞ্চে বসানো হয়। মন্ত্রী-কন্যাকে দেখা যায় বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে। তিনি বলেন, ‘‘এখনই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুন।’’
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অনেকটা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের মতো আচরণ করছেন বলে জানাল ইডি। আদালতকে তারা বলল, ‘‘স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বামীকে দেখাচ্ছেন। আর স্বামীকে প্রশ্ন করলে স্ত্রীকে দেখাচ্ছেন। এ তো পুরো মানিক ভট্টাচার্যের মতো ব্যাপার। সবাই এক।’’
জ্যোতিপ্রিয়ের আইনজীবী বললেন, ‘‘সবাই এক এটা ওঁরা বলতে পারেন না।’’
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী ভাবে যুক্ত? তা ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারক। প্রশ্ন করলেন, কয়েকজনের নাম বলা হয়েছে। কিন্তু উনি কী ভাবে যুক্ত?
জবাবে ইডি বাকিবুরের মালিকানাধীন নদিয়ার চাল এবং আটাকল এনপিজি মিলের কথা জানাল আদালতকে। একই সঙ্গে বলল কী ভাবে দুর্নীতি হত। এর পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবারের সদস্য যুক্ত রয়েছে এমন তিনটি সংস্থার শেয়ারের উল্লেখও করে ইডি। আদালতকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানাল, মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যার নাম ওই তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই সব সংস্থার স্ট্যাম্পও পাওয়া গিয়েছে। আদালতে ইডির পাল্টা যুক্তি, ‘‘সংস্থার সঙ্গে যুক্ত না হলে বাড়িতে স্ট্যাম্প পাওয়া গেল কী করে?
বিচারক— ওঁর স্ত্রী যদি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন, তবে তো স্ট্যাম্প থাকতেই পারে।
বিচারককে মন্ত্রী বললেন, গ্রেফতারির আগে যে পাতা দেওয়া হয়েছিল, তাতে আমার স্ত্রী, বৌদি এবং এক মহিলার পাসপোর্ট এবং টিকিটের কথা বলা হয়েছে। আমার কথা বলা নেই পরিবারের কথা বলা হয়েছে।
জ্যোতিপ্রিয়ের যুক্তি শুনে ইডি বলল, এটা আসলে উপরের আবরণ। সব কিছু আড়ালে রেখে হয়েছে। কপিতে ওঁর স্ত্রী-সহ দু’জনের কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy