—প্রতীকী ছবি।
গ্রেফতারের দশ দিনের মাথায়, শুক্রবার মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন বাসন্তী দাসও। আনন্দবাজারের সাংবাদিক দেবমাল্য বাগচীর সঙ্গে একই মামলায় অভিযুক্ত তিনি। বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পান দেবমাল্য। ওই দিনই দু’জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবমাল্য এবং বাসন্তীকে। মেদিনীপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটি উঠলে দু’জনকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই আদালতেই জামিনের আর্জি জানানো হয়। অভিযোগকারী মহিলা আদালতে এসে জানান, অভিযুক্তেরা জামিন পেলে তাঁর আপত্তি নেই। এর পরেই দু’জনকে জামিন দেয় আদালত। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌঁছনোর পরে বৃহস্পতিবার সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান দেবমাল্য। শুক্রবার ছাড়া পেয়েছেন বাসন্তী।
এ দিকে, সাংবাদিক গ্রেফতারের প্রতিবাদ অব্যাহত। দেবমাল্যের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এবং সাংবাদিকদের কাজের সুরক্ষার দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মৌনী মিছিল বার হয় মুর্শিদাবাদের অরঙ্গাবাদে। জেলার বহু সাংবাদিক তাতে পা মেলান। মিছিল শেষে সুতি থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন বিজেপি-র জাতীয়স্তরের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কিছু টিভি অ্যাঙ্করকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিষয়টির সমালোচনা করতে গিয়ে এ দিন সম্বিত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তো দেবমাল্য বাগচী নামে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি সত্য তুলে ধরেছিলেন, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা দাবি করেন, ‘‘সরকার বিরোধী খবর করার জন্য ওঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং বিজেপি শাসিত রাজ্যে সাংবাদিকদের উপর দমনপীড়ন হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy