‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ আয়োজিত ‘মায়ের জন্য রক্তদান’
রক্তদান মহৎ দান। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর উদ্যোগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় রক্তদান শিবির ‘মায়ের জন্য রক্তদান।’ প্রায় ৪০০টি পুজো কমিটির সদস্যদের এক ছাদের নীচে তলায় নিয়ে এসে এই বিরাট সমাজসেবামূলক কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। বিগত বছরগুলিতেও দারুণ সাড়া পেয়েছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ আয়োজিত এই বৃহৎ রক্তদান শিবির। এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি।
প্রতি বছরের মতোই ফোরামের এই মহান উদ্যোগে শামিল ছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষজন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক জগতের প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা পুরসভার সাংসদ ও চেয়ারম্যান মালা রায়, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, পৌরসভার মেয়র মন্ত্রী ববি হাকিম, দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস, মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ এবং মন্ত্রী অতীন ঘোষ সহ আরও অনেকে।
ফোরামের সদস্যরা আশাবাদী বিগত বছরগুলির মতোই গ্রীষ্মকালীন ভয়াবহ রক্ত সঙ্কট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই রক্তদান শিবির। ফোরাম আয়োজিত এই রক্তদান শিবির কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী সমস্ত সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাঙ্কের সংকটকেও দূর করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও রক্তদাতাদের জন্যে ছিল বিশেষ চমক।
‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর এই রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের দেওয়া হয়েছে ৪০০ পুজো কমিটির ‘ভিভিআইপি পাস।’ কারণ ফোরাম মনে করে রক্তদাতাদের চেয়ে সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে বড় ভিআইপি আর কেউ নেই। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে রক্তের একটি ক্রেডিট কার্ডও। যা দুঃসময়ে আপনার খুবই কাজে আসতে পারে। এই অষ্টম বর্ষে মায়ের জন্যে রক্তদানে নজির গড়লেন ৩৮৭৯ জন। তার মধ্যে কলকাতা থেকে রক্তদাতার সংখ্যা ৩৫৪৮ জন এবং পূর্ব বর্ধমান থেকে ৩৩১ জন।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, “২০১৭ সালের ৪ঠা জুন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মেটাতে ফোরাম প্রথম এই বৃহৎ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। আজ ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই রক্তদান শিবির অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করল। গত বছরেও অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছিল এই রক্তদান শিবিরে, ৪০০টি পুজো কমিটি থেকে প্রায় ২৬৪৩ জন রক্তদাতা ফোরামের এই বিশাল রক্তদান শিবিরে যোগদান করেছিল।”
তিনি আরও বলেছেন, ”এ বছর আমরা আশা করেছিলাম গত বছরের তুলনায় রক্তদাতাদের এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩০০০ জন হবে। কিন্তু আমরা সেই সংখ্যাও ছাপিয়ে গিয়েছি। আশা করছি, আগামী কয়েক মাস সরকারী সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাব মেটাতে আমরা সক্ষম হব। এই বিষয়টি আমাদের সকল ফোরাম সদ্যসদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের।”
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “এই বছর আমাদের রক্তদান শিবির অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করল। কোভিডের সময়েও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আমরা এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু আজ ফোরামের এই রক্তদান শিবির এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে এলে বোঝা যাবে রক্তদান নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন অন্য রকম এক উদ্দীপনা কাজ করে। তবে এই বছর শুধু পুজো কমিটির সদস্যরাই নয়, এই রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়েছে বহু সাধারণ মানুষও। এত মানুষের জনসমাগমে আজ এই ইনডোর স্টেডিয়ামকেও ছোট মনে হচ্ছে। পরের বছর থেকে আমাদের ভাবতে হবে কোথায়, কী ভাবে আরও সুষ্ঠভাবে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যায়।”
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy