প্রতীকী ছবি
আমপান ঘূর্ণিঝড় সত্ত্বেও কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যায় প্রভূত এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর বক্তব্য, মার্চের গোড়াতেও বঙ্গে ছিল আইসিএমআর অনুমোদিত মাত্র দু’টি পরীক্ষাগার। এখন ৩৩টি পরীক্ষাগারে দু’টি শিফটে কাজ হচ্ছে। গত কাল ৯২২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ডেরেক জানান, এপ্রিলের মাঝামাঝি দৈনিক গড়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৩৫০। মে-র মাঝামাঝি তা বেড়ে হয় ২২০০। এই মাসের শেষে তা আরও বেড়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের রাজ্যের পরিস্থিতি বেহাল। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বলে দেওয়া হয়েছে, একটু মন্থর গতিতে পরীক্ষা করাতে! গুজরাতে প্রকাশিত একটি সংবাদপত্রকে উদ্ধৃত করে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ১৫ মে সেই রাজ্যে নথিভুক্ত হয়েছে ৩ হাজার পরীক্ষা। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ১৬ তারিখেই দেখা যাচ্ছে, ওই সংখ্যা দশ হাজার! বিষয়টি সাজানো বলে অভিযোগ করে তৃণমূল নেতা জানান, পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এটাও সামনে এসেছে যে, প্রতি এক কোটি জনসংখ্যায় করোনার সংক্রমণ গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ বা পঞ্জাবের থেকেও বাংলায় কম। প্রতি কোটিতে বঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮২, গুজরাতে ২২৯৫। মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পঞ্জাবে করোনা আক্রান্ত প্রতি কোটিতে যথাক্রমে ৪৩০০, ৭৩৯৬, ও ৬৮৭ জন। গুজরাত মডেল ‘ব্যর্থ মডেল’ বলে আখ্যা দিয়ে মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফার বর্ষপূর্তি সম্পর্কে ডেরেকের মন্তব্য, দ্বিতীয় দফায় সরকার শূন্যতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্ত ১৯৩, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ মৃত পাঁচ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy