ফাইল চিত্র
কাশ্মীর থেকে প্রতি বছরই শাল, জ্যাকেট-সহ নানা শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে তাঁরা জেলায় আসেন। কিন্তু এ বার ‘লকডাউন-পর্বে’ আসানসোলের নানা প্রান্তে ৬০ জন কাশ্মীরি শাল বিক্রেতা আটকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে।
ওই দলটি জানায়, সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত তাঁরা আসানসোলে থাকেন। এ বারেও সব ঠিকই চলছিল। মার্চে ব্যবসা গুটিয়ে ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ‘লকডাউন’ শুরু হওয়ায় আসানসোল, কুলটি, বার্নপুরের নানা এলাকার ভাড়াবাড়িতে আটকে পড়েছেন তাঁরা। অনেকের সঙ্গে পরিবারও রয়েছে।
‘কাশ্মীরি আর্ট ইউনিয়ন’-এর কর্ণধার বিলাল আহমেদ বলেন, “প্রায় কুড়ি দিন আগে জেলা প্রশাসনের কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কিছু হয়নি।।” তহসিন আহমেদ নামে অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, “যা রোজগার করেছিলাম, তা প্রায় শেষ। আরও দেরি হলে, সমস্যা বাড়বে।” এ দিকে, এপ্রিল, মে মাসে শিল্পাঞ্চলের প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বলে জানান তাঁরা।
তবে ওই ব্যবসায়ীদের সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক পর্যায়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে দাবি অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির। তিনি বলেন, “ওই ব্যাবসায়ীদের বিশদ পরিচিতি ও আবেদনপত্র যাচাই করা হয়েছে। কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফেরত পাঠানোর অনুমতি নেওয়া হয়েছে। ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত এই রাজ্যের নোডাল অফিসার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা হতে পারে।”
তবে সমস্যা হল তাঁরা ফিরবেন কী ভাবে? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ পথ বাসে চেপে ফিরতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই বিকল্প হিসেবে ট্রেনের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান খুরশিদ আলি কাদরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy