ছবি পিটিআই।
চলতি করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এক গুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া অর্থের পাশাপাশি অন্যতম দাবি, চলতি আর্থিক বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অংশীদারির প্রথম কিস্তির অর্থ দেওয়ার সময় যেন আগের বছরের টাকা খরচের তথ্য (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বা সদ্ব্যবহার শংসাপত্র) দিতে জোর করা না-হয়।
প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, একটি আর্থিক বছরে কোনও প্রকল্পের জন্য সাধারণত দু’ভাগে বরাদ্দ টাকা দেয় কেন্দ্র। উদাহরণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কোনও একটি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দু’টি কিস্তিতে পেয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা পেতে হলে রাজ্যকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থের প্রথম কিস্তির ১০০% এবং দ্বিতীয় কিস্তির ৬০% খরচের হিসেব পাঠাতে হয় কেন্দ্রের কাছে। রাজ্যের দাবি, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অংশীদারির প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় এই নিয়ম নিয়ে কেন্দ্র যেন কড়াকড়ি না-করে।
সংশ্লিষ্ট মহলের যুক্তি: ১) এ বছরের ৩১ মার্চ ২০১৯-২০ আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই করোনা-যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তখন থেকেই প্রায় সব ধরনের গতিবিধি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যের আয় পুরোপুরি মার খেয়েছে। তার মধ্যেও রাজ্য সরকারকে বেতন, পেনশন, সামাজিক প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচি চালাতে হয়েছে। বিপুল সংখ্যক গরিব মানুষকে ছ’মাস রেশনের মাধ্যমে নিখরচায় খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি করোনা চিকিৎসা খাতে বিপুল অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, “এমনিতেই এই পরিস্থিতিতে মাসিক প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। তার উপরে এই বিপুল খরচ। মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই করোনা-মোকাবিলা খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি জানিয়েছিলেন। তা-ও মেলেনি। তাই উপায় না-থাকায় নতুন করে দাবি জানাতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।”
আরও পড়ুন: মোদীর স্বদেশি আত্মনির্ভরতার ডাকেও সংশয় অনেক
২) সকলেই এখন করোনা-যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় প্রকল্প ধরে ধরে টাকা খরচের হিসেব কষা বেশ কঠিন। তার উপরে অর্থনীতি মেরামত, কর্মহীনদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া, বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক প্রকল্পগুলি সচল রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। তার মধ্যে আগের বছরের খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব কষতে হলে জরুরি কাজগুলি করা সম্ভব হবে না। তাই আগের বছরের অর্থ খরচের হিসেব দাখিলের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত রাজ্য সরকারকে। তার জন্য নতুন বছরের বরাদ্দের কিস্তি আটকে রাখা অনুচিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy