ছবি পিটিআই।
পর্যাপ্ত গণপরিবহণের অভাবে দূরত্ববিধিকে শিকেয় তুলে এবং বিস্তর ভোগান্তিকে সঙ্গী করে অফিসে হাজির হচ্ছিলেন কর্মী-অফিসারেরা। সেই পরিস্থিতি থেকে কিয়দংশে সুরাহা মিলতে পারে তাঁদের। কারণ, এ বার থেকে দুটি শিফ্টে সরকারি অফিস হবে। মানুষের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও একাধিক শিফ্টে অফিস পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। বাড়ি থেকে কাজের বিষয়ে এ দিনও উৎসাহ দেওয়ার কথা বলেছেন।
সরকারি দফতরে উপসচিব পর্যায় পর্যন্ত প্রথম শিফ্ট হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। অন্য শিফ্ট হবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘‘শিফ্ট করার ফলে বাসে ভিড় হবে না। হাতে সময়ও পাওয়া যাবে।’’ শিফ্ট হওয়ার ফলে রাস্তায় ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেই সুবাদে অফিসযাত্রীদের যানবাহনের সমস্যা কিয়দংশে মিটতে পারে বলে মত তাঁর।
সোমবার থেকে সরকারি দফতরে ৭০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক হয়। আর হাজিরা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় সরকারি কর্মী-অফিসারদের। যানবাহনের সমস্যার কথাও এ দিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে পাঁচ হাজার বাস চলেছে বলে এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘মেট্রো নেই। লোকাল ট্রেন নেই। এখন সব বন্ধ। সরকারি আর বেসরকারি বাসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর কিছু গাড়ি। একটা সমস্যা হচ্ছে।’’ তবে সব কিছু বন্ধ থাকলে মানুষের সমস্যা আরও বাড়তে পারে, তা-ও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে রাজ্যের ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সরকারি কর্মী-সংগঠনগুলির মতে, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত দূরত্ববিধি হলেও যানবাহনের অভাবে তা মানতে পারছিলেন না কর্মীরা। ফলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। কর্মীদের কথা ভেবে পরপর দু’দিন যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার, তাতে কিছুটা সুরাহা হবে বলে আশা তাদের।
আরও পড়ুন: খুলেছে অফিসপাড়া, তবু মাছি তাড়াচ্ছে খাবারের স্টল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy