Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ভিনদেশিদের সংস্পর্শ এড়াতে প্রচার, সীমান্তে কড়া নজরদারি

স্বরূপনগর সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে যে সব কৃষকেরা ও পারের জমিতে চাষ করতে যান, তাঁদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হচ্ছে।

সতর্ক: স্বরূপনগর সীমান্তে জীবাণুনাশে তৎপর বিএসএফ।

সতর্ক: স্বরূপনগর সীমান্তে জীবাণুনাশে তৎপর বিএসএফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট ও বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০১:৫৪
Share: Save:

লকডাউনের নিয়ম শিথিল হওয়ায় কৃষিকাজে অনুমতি মিলেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের ও পারের জমিতে চাষের কাজে গিয়ে যাতে এ পারের কেউ করোনা-আক্রান্ত না হন, সে জন্য বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় বিশেষ উদ্যোগ করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ দেশের চাষিরা যাতে কোনও ভাবে ও পারের বাসিন্দাদের সংস্পর্শে না আসেন, সে জন্য বারবার সচেতন করা হচ্ছে। এই সুযোগে যাতে ও পার থেকে কেউ এ পারে আসতে না পারে, সে জন্যও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ ও বিএসএফ।

সম্প্রতি বসিরহাটের ঘোজাডাঙায় এসেছিলেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, আইজি দক্ষিণবঙ্গ রাজেশ কুমার, ডিআইজি সি সুধাকর, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই। বিএসএফের ১৫৩ ব্যাটালিয়নের এবং শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে অনুপ্রবেশ এবং সীমান্ত বাণিজ্যের বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। পুলিশ ও জওয়ানদের পক্ষে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারের কর্মসূচি নেওয়া হয়। স্বরূপনগর সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে যে সব কৃষকেরা ও পারের জমিতে চাষ করতে যান, তাঁদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হচ্ছে। যাওয়া এবং ফেরার সময়ে সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং হচ্ছে। জওয়ানেরা চাষিদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছেন। সীমান্ত জুড়ে জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছে। ও পারে বাংলাদেশিদেরও জমি রয়েছে। চাষের কাজের সময় তাঁরা যাতে কোনও ভাবে ভিনদেশিদের সংস্পর্শে না আসেন, সে জন্য বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।

বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে বনগাঁ জেলা পুলিশও। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে অনুপ্রবেশ হয় মূলত দালালদের মাধ্যমে। লকডাউনের মধ্যে সেই দালালদের বিরুদ্ধে লাগাতার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, “লকডাউনের মধ্যে বনগাঁ পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ২৮ জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ধরপাকড় চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাপথে এ দেশে প্রবেশ বন্ধ করতে পুলিশি নজরদারি বেড়েছে। সীমান্তের বিশেষ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করে নাকা তল্লাশি চলছে রাতদিন। পুলিশি টহলের পাশাপাশি বনগাঁ, বাগদা, পেট্রাপোল এবং গাইঘাটা থানার সীমান্ত এলাকায় ৩-৪টি বাড়তি মোবাইল পুলিশ ভ্যান টহল দিচ্ছে। পুলিশ জেলার নিজেও সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, “নদী ও স্থলসীমান্ত দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ না হয়, সে জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমি নিজেও ঘুরছি। গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও সক্রিয়। পুলিশের সোর্স বাড়ানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, বাগদা থানা এলাকায় বেআইনি ভাবে বসবাস করা কয়েকজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronaviru Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE