ছবি সংগৃহীত।
শুরু হয়েও স্থগিত রাখতে হয়েছিল আবেদনের প্রক্রিয়া। তার পরে আবার ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ফর্ম পূরণ শুরু হয়। শুক্রবার ছিল দরখাস্ত জমা দেওয়ার শেষ দিন। লকডাউনে কাজ হারানোর ফলে অন্তত ১০ লক্ষ আবেদনকারী রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে হাজার টাকা করে ভাতা চেয়েছেন। দরখাস্ত ঝাড়াইবাছাইয়ের পরে সরকার সেই টাকা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবে। তবে আবেদনের বহর দেখে সরকারি কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ।
‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পেও ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা সাড়ে ন’লক্ষ আবেদনকারী হাজার টাকা ‘হাতখরচ’ পেতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দেখা যায়, প্রায় সাড়ে চার লক্ষ আবেদনকারী রাজ্যে থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিকের ‘হাতখরচের’ টাকা দাবি করেছেন। সরকার সেই সব আবেদন বাতিল করে দেয়। পাঁচ লক্ষের কিছু কম শ্রমিকের ব্যাঙ্কের খাতায় হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে নবান্ন। খরচ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
প্রচেষ্টা প্রকল্পেও সরকারি টাকা পাওয়ার জন্য আবেদনের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সরাসরি বিডিও অফিসে ভিড় জমতে থাকায় অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করেছিল অর্থ দফতর। প্রকল্পের নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়, কোনও সরকারি পেনশন বা সুবিধা পেলে এই প্রকল্পে টাকা মিলবে না। পরিবারের এক জন কাজ-হারানো ব্যক্তিই টাকা পাবেন। এবং সেই ব্যক্তি বাড়ির একমাত্র রোজগেরে হলে তবেই টাকা মিলবে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ আবেদন করতে বলা হয়। অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোথাও একটি ভোটার কার্ডের নম্বর উল্লেখ করে ৭১টি আবেদন জমা পড়েছে, কোথাও একই ঠিকানায় ২৬টি আবেদন বা একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট উল্লেখ করে কয়েকশো আবেদন এসেছে। ১৬ বছরের কিশোরীর আবেদনে বৃদ্ধার ছবি দেখা যাচ্ছে। অর্থকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবেদনকারীদের ৬০% কোনও না-কোনও সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে তাঁদের আবেদন বাতিল হচ্ছে। স্বরোজগেরে অথচ কোনও ধরনের সরকারি সুবিধা পান না, এমন পেশার আবেদনকারীকেই হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই খাতে আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে অর্থ দফতর সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: তেলেনিপাড়া নিয়ে আপত্তিকর ‘পোস্ট’, গ্রেফতার মহিলা
আবেদনকারীদের অভিযোগ, অনেকেই অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারেননি। কারণ, সারা দিন কম্পিউটার বা মোবাইলে চেষ্টা চালিয়েও ‘প্রচেষ্টা’ অ্যাপ খোলা যায়নি। কাজের দিনে দু’তিন ঘণ্টা আবেদন জমা দেওয়ার পরেই ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে অ্যাপ। ছুটির দিনে তা খোলাই ছিল না। যদিও অর্থ দফতরের কর্তাদের দাবি, ঘণ্টায় লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ছিল বলে অ্যাপের সফটওয়্যার মাঝেমধ্যেই ভুগিয়েছে। আবেদন করতে না-পারার অভিযোগ মানতে চাননি ওই কর্তারা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৩, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত আরও ১০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy