Advertisement
E-Paper

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নয়, রাজ্যে আক্রান্ত বৃদ্ধিতে চিকিৎসা নিয়ে নয়া ভাবনা বিশেষজ্ঞদের

রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি (১১,৯৪৮)। এমন দ্রুত সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি  নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকদের একাংশ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২০
Share
Save

এ বার আর করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নয়, বদলে স্টেরয়েড ও হেপারিন জাতীয় ওষুধের উপর জোর দিতে হবে। সঙ্গে থাকবে অক্সিজেন থেরাপি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নিভৃতবাস ও হাসপাতালে চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রশিক্ষণ শিবিরে এমনই জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসেকরা। এ দিন ওই ওয়েবিনারে ছিলেন রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের করোনা- চিকিৎসকেরা। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন আরজিকরের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল, এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, আরজিকরের ক্রিটিক্যাল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুগত দাশগুপ্ত ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক বিভূতি সাহা।

প্রসঙ্গত, এ দিন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি (১১,৯৪৮)। এমন দ্রুত সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকদের একাংশ। রাজ্যে কোভিড শয্যা বাড়ানোর নির্দেশিকা এ দিনও জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সরকারি হাসপাতাল ও আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল মিলিয়ে আরও ৫,৬৭৩টি শয্যা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৫০৩৬ টি সাধারণ ও ১৫০ টি সিসিইউ এবং ৪৮৭টি এইচ ডি ইউ শয্যা। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীর শারীরিক অবস্থাও প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেছে স্বাস্থ্য ভবন। পাশাপাশি কোন রোগী কতটা সুস্থ হচ্ছেন তাও নজরে থাকবে দফতরের। যাতে কোনও শয্যা অহেতুক আটকে না তাকে।

করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রোটোকল প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকাতেও স্টেরয়েড, হেপারিন জাতীয় ওষুধের উল্লেখ রয়েছে। জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, ‘‘স্টেরয়েড শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হেপারিন রক্তকে পাতলা রাখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই দু’টি ওষুধ প্রয়োগের কথা বলেছে। এই দু’টি ওষুধ এবং প্রয়োজনমতো অক্সিজেন থেরাপি মৃত্যুহার অনেক কমাতে পারবে। সঙ্গে অবশ্যই সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।’’ সৌমিত্রবাবুও জানাচ্ছেন, ল্যাবরেটরি মাপকাঠি হিসেবে সিআরপি, সিবিসি, ডি-ডাইমার পরীক্ষা এবং ক্লিনিকাল মাপকাঠিতে নিয়মিত তাপমাত্রা, অক্সিজেন মাত্রা, নাড়ির গতি, রক্তচাপ মাপা---এই কাজগুলি করা একান্ত প্রয়োজন। মূলত আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ দিন পর থেকে ৪৮-৭২-৯৬ (রোগী বিশেষে) সিআরপি, সিবিসি, ডি-ডাইমার পরীক্ষা করে আগাম বোঝা সম্ভব, রোগটা কোন দিকে যাচ্ছে। তাতে চিকিৎসারও সুবিধা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের প্রোটোকলে এটিও বলা রয়েছে।

Corona Coronavirus in West Bengal Hydroxychloroquine

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।