রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার নতুন করে গৃহ-পর্যবেক্ষণে গেলেন ১০ হাজার ৩১৩ জন। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হল তিন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে হাওড়া জেলা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন শালকিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা। তিনি জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর লালরসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। মৃত্যুর পর সেই রিপোর্ট এসেছে। জানা যায়, তিনিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলঘরিয়ার এক প্রৌঢ়ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আরও তিন জনের শরীরে করোনার প্রমাণ মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুরের এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে মুম্বই-যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। টালিগঞ্জের ৫২ বছর বয়সি এক বাসিন্দা ঢাকুরিয়ার অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্য এখনও পর্যন্ত ২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এ বার বেলঘরিয়ার প্রৌঢ় করোনায় আক্রান্ত, নিয়ে যাওয়া হল আইডি-তে
আরও পড়ুন: অসমে মৃত ডাক্তার, করোনা ঠেকাতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খেয়েই কি?
আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমন স্বস্তির বার্তাও রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লন্ডন ফেরত আমলা-পুত্র, আর এক লন্ডনফেরত তরুণের বাবা এবং হাবড়ার বাসিন্দা স্কটল্যান্ড-ফেরত তরুণীকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে বেলেঘাটা আইডি থেকে। এই তিন জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়েছে, আপাতত তাঁদের গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, গৃহ-পর্যবেক্ষণের সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দিন নতুন করে ১০ হাজার ৩১৩ জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে। ফলে গৃহ-পর্যবেক্ষণের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৪০৪ জন। প্রথমে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ দিন গৃহ-পর্যবেক্ষণের সংখ্যার বিষয়ে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্যে ভুল ছিল পরে জানায় তারা। এ দিন রাতের দিকে ফের নতুন করে এ বিষয়ে আরেকটি বুলেটিন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর।
৫৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, তাঁদের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। তার মধ্যে ৫১২ জনের কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। পজিটিভ ২৭ জন। বাকি চার জনের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সব জেলার হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখছে রাজ্য। ইতিমধ্যে ১০০টি সরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৩১৭টি আইসোলেশন বেড তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি দিনই করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এক দিকে সচেতনতা, অন্য দিকে হাসপাতালের পরিকাঠামো যাতে প্রস্তুত থাকে সে দিকে তাঁর নজরদারি রয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনকেও তিনি মানবিক ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy