নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হাওড়া তথা রাজ্যের অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের রুজিরোজগার নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষতের মুখে মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়া রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। মহারাষ্ট্রে যে গতিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ওই রাজ্যে ফের টানা লকডাউনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই আবহে ফের রাজ্যে ফিরে আসছেন মুম্বইয়ে কাজের খোঁজে যাওয়া পরিযায়ীরা। রবিবার হাওড়া এবং সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমেছেন অসংখ্য পরিযায়ী। তবে ঘরে ফিরলেও, কী ভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটেনি।
গোটা দেশের মতো এ রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। শনিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ হাজার ৭০০-রও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া জেলাতেও সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭০০ পেরিয়েছে। মহারাষ্ট্রেও পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৬৭ হাজার ১২৩ হয়েছে। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪১৯ জন কোভিড রোগীর। এই আবহে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হাওড়া তথা রাজ্যের অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। গত বছরের লকডাউনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা। রবিবার হাওড়া এবং সাঁতরাগাছি স্টেশনে তাঁদের ভিড় দেখা গিয়েছে। মুম্বই থেকে সাঁতরাগাছি স্টেশনে পা রেখেছেন সোনা মণ্ডল। তিনি বলেন, “মুম্বইয়ের একটি হোটেলে কাজ করতাম। কিন্তু সেখানকার যা পরিস্থিতি, তাতে আর মুম্বইতে থাকা নিরাপদ নয়।”
রবিবার হাওড়া স্টেশনে নামা আর এক পরিযায়ী শ্রমিক সুজন দাসের মুখেও প্রায় একই কথা শোনা গেল। তিনি বলেন, “কাজের জন্য মুম্বই গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে লকডাউনে আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফিরে এলাম। গ্রামে চাষের কাজ করে রোজগার করব।”
করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হলে অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসতে পারেন পরিযায়ীরা। তবে ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরলেও হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনে পরিযায়ীদের থার্মাল চেকিংয়ের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই এই গাফিলতির দায় কে নেবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশনে খুব শীঘ্রই থার্মাল চেকিং শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy