Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পক্ষেই মত ডাক্তারদের

বঙ্গে কোভিড সংক্রমণ এবং চিকিৎসার সাম্প্রতিক গতিবিধি নিয়ে রবিবার আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন— বিতর্ক এবং সহমত’।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

উন্নত বহু দেশে তার ব্যবহার বন্ধ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে সুরক্ষাকবচ (প্রোফাইল্যাক্সিস) হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে কার্যত ঐকমত্য হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত ওয়েব-মঞ্চের আলোচনা সভা।

বঙ্গে কোভিড সংক্রমণ এবং চিকিৎসার সাম্প্রতিক গতিবিধি নিয়ে রবিবার আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন— বিতর্ক এবং সহমত’। আলোচনা সভায় যোগ দেন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির বিভাগীয় প্রধান শান্তনু ত্রিপাঠী, এসএসকেএমের রিউম্যাটোলজির বিভাগের প্রধান অলোকেন্দু ঘোষ, কার্ডিয়োলজি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সভাপতি চিকিৎসক মৃণালকান্তি দাস এবং অ্যাপোলো গ্লেনেগলসের চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের প্রফেসর জ্যোতির্ময় পাল এবং স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান বিভূতি সাহা।

শ্যামাশিসবাবু জানিয়েছেন, ভারতের মতো হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারকারী দেশে তুলনামূলক ভাবে আক্রান্তের এবং মৃত্যুর হার কম। তাঁর কথায়, ‘‘মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন হল নিরাপদ, সস্তা এবং কার্যকরী ওষুধ।’’ কিন্তু অসুস্থতার মাত্রা বাড়লে পরিস্থিতি অনুযায়ী রেমডিসিভির, প্লাজ়মা থেরাপি ব্যবহারের পক্ষপাতী তিনি।

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারকারী কোনও রিউম্যাটো-আর্থারাইটিসের রোগী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে এমন তথ্য তাঁর জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অলোকেন্দুবাবু। যদিও বিভূতিবাবুর মতে, ‘‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা রোধ করতে না-পারলেও রোগের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয়।’’ তাঁর পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের রোগ মৃদু উপসর্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। হৃদ্‌রোগ বা অন্য যে সকল রোগের সহাবস্থানে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে, এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সমস্যা না-থাকলে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেতে পারেন। সেটাই বার্তা হওয়া উচিত।’’

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে আপত্তি নেই শান্তুনুবাবুরও। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারকারী কোনও কোভিড রোগীকে রেমডিসিভির দেওয়ার প্রয়োজন হলে মাথায় রাখা উচিত যে, দু’টি ওষুধের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ায় রেমডিসিভিরের কার্যক্ষমতা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE