প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ নিম্নমুখী হলেও স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি। ধূপগুড়িতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ওই পুর এলাকাকে রেড জোনে পরিণত করা উচিত বলে মনে করে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। যদিও এ নিয়ে একমাত্র রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্লক আধিকারেরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৮ মে পর্যন্ত ধূপগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৭৬। এর পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে প্রায় ২১০০ ছুঁই ছুঁই হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ধূপগুড়ি বাজারে এখনও অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন। এমনকি, গৃহ নিভৃতবাসে থাকলেও অনেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন না। ফলে আক্রান্তের পাশাপাশি ধূপগুড়িতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ। সুরজিৎ বলেন, “ধূপগুড়ির করোনা পরিস্থিতি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা না করিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত ১০ দিনে ধূপগুড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন মারা গিয়েছেন। এঁরা সকলেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন। অবিলম্বে ধূপগুড়িকে রেড জোন বলে ঘোষণা করা উচিত। ধূপগুড়িকে রেড জোন করা যায় কি না, তা নিয়ে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভার আলোচনা করা উচিত।”
যদিও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রেড জোন করার সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারেন না। তিনি বলেন, “রেড জোন ঘোষণা করা পুরসভার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তবে স্বাস্থ্য দফতর যদি পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা বলবৎ করা হবে।” তিনি বলেন, “৯০ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। তবে ৪-৫ শতাংশের অসচেতনতার জন্য ধূপগুড়িতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে রোখা যাচ্ছে না। তাঁদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy