Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Dakshineswar Kali Temple

নিয়ম মেনেই দক্ষিণেশ্বরে ভক্তের ভিড়

লকডাউনের জেরে আড়াই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পরে এ দিন প্রথম খোলে মন্দির।

স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই চলছে পুজো। শনিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই চলছে পুজো। শনিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৪:১৩
Share: Save:

পূর্ব ঘোষণা মতো শনিবার সকাল থেকেই খুলেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সিংহদুয়ার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একগুচ্ছ সুরক্ষা ব্যবস্থার ধাপ পেরিয়ে দর্শনার্থীরা পৌঁছেছেন ভবতারিণী মন্দিরে । ফুল, শাখা-সিঁদুর ছাড়া পুজো দিতে হলেও বেজায় খুশি দর্শনার্থীরা। সকলেই বলছেন, ‘‘নিয়ম যা-ই থাকুক, এত দিন পরে মাতৃদর্শন তো হল।’’

লকডাউনের জেরে আড়াই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পরে এ দিন প্রথম খোলে মন্দির। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সিংহদুয়ার খোলার অনেক আগে থেকেই বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন দর্শনার্থীরা। ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অন্তত হাজার খানেক দর্শনার্থী এসেছিলেন মন্দিরে। এঁদের বেশিরভাগই হাওড়া, হুগলি, উত্তর শহরতলির বাসিন্দা। তবে দুপুর সাড়ে তিনটেয় মন্দির খুলতেই বেহালা, বাগবাজার, নাকতলা থেকেও আসেন দর্শনার্থীরা। পার্কিংয়ের কর্মীরা জানান, সকালে দুই ও চার চাকা গাড়ির সংখ্যা ছিল ১৬১টি। দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে সাড়ে চারটের মধ্যে তা ছিল ২৩০টি। বেহালার কল্যাণী মণ্ডল বলেন, ‘‘সুরক্ষার অনেক ধাপ পেরোতে হলেও সময় কিন্তু বেশি লাগছে না।’’

থার্মাল স্ক্রিনিং-এর পর জুতো-মোবাইল জমা রেখে ‘স্যানেটাইজিং ট্যানেল’ পেরিয়ে দর্শনার্থীরা পৌঁছেছেন মন্দির চত্বরে। সেখানে নির্দিষ্ট জায়গাতেই দাঁড়িয়েছেন সকলে। মূল মন্দিরে প্রায় ৬ ফুট দূরত্বে পুজো নিয়েছেন পিপিই পরা পুরোহিতেরা। তবে শিব মন্দির, রাধাকৃষ্ণ মন্দির, রামকৃষ্ণদেবের শয়ন কক্ষের বাইরে থেকেই প্রণাম সারতে হয়েছে। মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘মন্দির খুলতেই দর্শনার্থীরা এসেছেন। আশা করি, সংক্রমণ রুখতে সকলে মন্দিরের নিয়ম মেনে সহযোগিতা করবেন।’’

আরও পড়ুন: অবস্থান বদলাচ্ছে না ভাড়া বাড়ানো নিয়ে, জেদের লড়াইয়ে অচল বাস

আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু ১৭ জুন, জারি নতুন বিজ্ঞপ্তিও

এ দিন ডালা আর্কেডে ২৯টি দোকান খুলেছিল। সেখানে ঢোকার আগেও তাপমাত্রা মাপা হয়েছে দর্শনার্থীদের। ক্রেতাদের হাতে জীবাণুনাশক দেওয়ার পাশাপাশি ডালা ও টাকা দেওয়া-নেওয়ার জন্য দোকানের সামনে ২টি করে ঝুড়ি রাখা হয়েছে। একই নিয়মে খুলেছিল মন্দির চত্বরের পুরনো খাবারের দোকানও। তবে ভেসে আসেনি হিঙের কচুরি-ডালের গন্ধ। বদলে বিক্রি হয়েছে চা। দোকানিরা বলছেন, ‘‘সবে তো দোকান খুললাম। দেখা যাক, কেমন ক্রেতা আসেন।’’ তবে বসে খাওয়ার পাট চুকিয়ে এ বার চালু হবে পার্সেল। তাই হিঙের কচুরি-ডালের জায়গা নিতে পারে রাধাবল্লভী-শুকনো আলুর দম।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy