গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
গত সোমবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত দেড় হাজারের নীচে নামলেও মঙ্গলবার থেকে ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার আরও কিছুটা বেড়ে আবার আড়াই হাজারের কাছে পৌঁছে গেল দৈনিক আক্রান্ত। দৈনিক সংক্রমণের হারও সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ করা গেল। চিকিৎসকের মহলের বক্তব্য, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, একই ভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। তাই, এর পর দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা। উদ্বেগের কারণ, দৈনিক সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। সে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। গত ২৪ ঘণ্টায় ছ’জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই টানা চার দিন ধরে কোভিডে দৈনিক মৃত্যু ছয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৮৬ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৯১ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৩১১ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ১৬.২৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত, যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমে ২৭ হাজার ৭৫৫।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy