প্রতীকী ছবি।
গোপনে বাড়ছে করোনা!
কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও কোনও রকম উপসর্গের প্রকাশ নেই। অদৃশ্য সূত্রে তাঁর থেকে অন্যেরা সংক্রমিত হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছেন, আবার অনেকে থেকে যাচ্ছেন উপসর্গহীন। আগেকার বিভিন্ন পর্বের মতো হাঁকডাক করে নয়, চলতি দফায় বিচিত্র লুকোচুরি খেলায় এ ভাবেই আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে অতিমারি। রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে তিন হাজারের দোরগোড়ায়। যদিও সেই পরিসংখ্যানে উপসর্গহীন আক্রান্তের তথ্য থাকছে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘‘সেটা থাকা সম্ভবও নয়। মৃদু উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকে তো পরীক্ষাই করাচ্ছেন না। সেখানে উপসর্গহীনদের নিজে থেকে পরীক্ষার তো প্রশ্নই নেই।’’ স্বাস্থ্য শিবিরের আশঙ্কা, দৈনিক বুলেটিনের বাইরে সংক্রমিতের প্রকৃত সংখ্যা তাই বহু গুণ বেশি।
করোনা গোপনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে, তা জানতে পঞ্চম দফার সেন্টিনেল সার্ভে করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তার রিপোর্ট অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশ। ‘পজ়িটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণ হার অনেক বেশি হওয়ায় ১১টি জেলাকে লাল কালিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ২৮টি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা, মহকুমা স্তরের হাসপাতালকে চিহ্নিত করে ৬ থেকে ৮ জুলাই ওই সব হাসপাতালের স্ত্রীরোগ, শল্য বিভাগের উপসর্গহীন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সেই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১১টি জেলায় সংক্রমণ হার দশের বেশি। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা (২৪.৭৭%), উত্তর ২৪ পরগনা (২৩.৬৫%), কলকাতা (১৩.১৩%), পূর্ব বর্ধমান (১৪.১৪%), হাওড়া (১৪.২৩%), বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা (১৪.৩৬%), পশ্চিম বর্ধমান (১৬.৫৬%), কালিম্পং (১৬.৭৫%), উত্তর দিনাজপুর (১৮.২৫%), দার্জিলিং (১৯.০১%), নদিয়া (১০.১৫%)। চিকিৎসকেরা জানান, অনেক জেলাতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য বা এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে। তেমন জেলাও চলে এসেছে লাল কালির তালিকায়। শল্যচিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, ‘‘আক্রান্তের যে-সংখ্যা প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে, তা হিমশৈলের চূড়ারও সামান্য অংশ মাত্র। আসলে এ বার উপসর্গহীনএবং মৃদু উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তাঁরা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। প্রকৃত সংখ্যাও বোঝা যাচ্ছে না।’’ স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশ জানাচ্ছেন, ২৮টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করে ৪০০টি করে নমুনা পরীক্ষা করেই সংক্রমণের এমন চিত্র মিলেছে। যে-বিপুল সংখ্যক মানুষ বিধি উপেক্ষা করে ঘুরছেন, তাঁদের মধ্যেও তো অনেকে উপসর্গহীন ভাবে আক্রান্ত রয়েছেন। তা হলে প্রকৃত ছবিটা কত ভয়ের?
স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী রবিবার রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯১৫ জন। সংক্রমণের হার ২১.২৯ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy