কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে মারা যান ষষ্ঠীতলা এলাকার বাসিন্দা গোপাল চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
ফের করোনা রোগীর দেহ নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ। হাওড়া জেলার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কদমতলার পর এ বার ষষ্ঠীতলায়। অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা পড়েছিল দেহ। দীর্ঘ টালবাহানার পর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসে দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে মারা যান ষষ্ঠীতলা এলাকার বাসিন্দা গোপাল চক্রবর্তী (৬০)। বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। সেই চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধের ছেলে তমাল চক্রবর্তী বলেন, “কোভিড টেস্ট করার পর বাবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দরকার ছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করে কোনও হাসপাতালে বেড পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। এর পর মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ বাবা মারা যান।”
বৃদ্ধের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বার বার জগাছা থানা ও পুরসভায় যোগাযোগ করেও মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘ ১২ঘণ্টা বাড়িতেই দেহ পড়ে থাকে।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর শংসাপত্র এবং কোভিড রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই বৃদ্ধের বাড়িতে শববাহী গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় দেহ নিয়ে যাওয়ার কাজে যেতে সময় লেগে যায়। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে যান পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কদমতলা এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যুর প্রায় ৮ ঘণ্টা পর সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক করোনা রোগীর দেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy